1. admin@pressbd.online : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টাকা ছাড়া কাজ হয় না ভূমি অফিসগুলোতে দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহবায়ক আলহাজ্ব  ইদ্রিস মিয়া’ সংবর্ধিত  বান্দরবানে ইটভাটায় পরিবেশ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযান ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২ তারাকান্দায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের সামনে যাত্রীবাহী বাসের ভিতর থেকে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান লক্ষ্মীছড়ি থানা পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মাটিরাঙ্গায় নবাগত জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এর মতবিনিময় রূপগঞ্জে ছুড়িকাঘাতে আহত দুই কিশোরের মৃত্যু ফুলপুরে প্রশাসনের আয়োজনে নানান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ফুলপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়িকের মৃত্যু 

দৌলতপুরে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পেয়াঁজ উত্তোলনে ব্যস্ত কৃষক

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৭ বার পাঠ করা হয়েছে

হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পেয়াঁজ উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এসময়ে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে লোকসানের বোঝা অনেকটাই কমতো বলে মনে করছেন চাষিরা। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় এরই মধ্যে কয়েক দফায় সড়ক অবরোধসহ মানববন্ধন করেছেন এ উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা।গত মৌসুমের তুলনায় এবার দ্বিগুণ খরচে পেয়াঁজ চাষ করেছেন দৌলতপুরের কৃষক। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব ও অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে এ মৌসুমে পিছিয়ে পড়েছে পেয়াঁজ চাষিরা। এ বছর পেয়াঁজ বীজ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। কিন্তু উৎপাদিত প্রতি মন পেয়াঁজ বিক্রয় হচ্ছে মাত্র ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, যা খরচের প্রায় অর্ধেক। এতে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা লোকসানে আছেন পেয়াঁজ চাষিরা। উপজেলার বেশ কয়েকটি পাইকারি কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৭ থেকে ৩২ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে পেয়াঁজ। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এবার ৩ হাজার ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে পেয়াঁজের চাষ হয়েছে। সীমান্তবর্তী উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে দৌলতপুর কৃষিতে অন্যতম। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পেয়াঁজ চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছেন তারা। মাত্র ২ থেকে আড়াই মাসের ফসল হওয়ায় পেয়াঁজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। এ বছর বিঘা প্রতি জমিতে ৫০ থেকে ৫৫ মন পেয়াঁজ উৎপাদন হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ মন বিঘাপ্রতি কম। তবে লোকসানের বিষয়টি মাথায় নিয়েই তারা এবার পেয়াঁজ চাষ করেছেন। এদিকে বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে লোকসানের বোঝা অনেকটাই কমতো বলে মনে করছেন চাষিরা। উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের পেয়াঁজ চাষি রুহুল আমিন ও ডালিমের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুণ খরচে পেয়াঁজ চাষ করেছেন তারা। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে লাগানো পেয়াঁজ সব নষ্ট হয়ে গেছে। আবার বীজ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেড়েছে। গত বছর বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ মন পেয়াঁজ উৎপাদন হলেও এ বছর ৫০ থেকে ৫৫ মন পেয়াঁজ উৎপাদন হয়েছে। আবার বাজারদর কম হওয়ায় এ বছর বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে হচ্ছে তাদের। মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের কৃষক ইমরান বলেন,এ বছর আমি ৫২ শতক পেঁয়াজের চাষ করেছি। সেখানে গত বছরের তুলনায় আমার ৪০ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে, সার ও পেঁয়াজ বীজের দাম বেশি থাকায়। এক্ষেত্রে যদি সরকার আমাদের উপর একটু নজর দিতো তাহলে আমরা সাধারণ চাষিরা লোকসানের হাত থেকে বাঁচতাম। আমি এই সরকারের কাছে আশা করবো যাতে এই দুই মাস বাহির থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করে। যাতে আমরা লোকসানের হাত থেকে বেচে যাইতে পারি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলছেন, পেঁয়াজ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করেছি যার কারণে এবারে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এবারে দৌলতপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭শ ৭৩ হেক্টর জমি, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ হাজার ২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। কিন্তু অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বীজ পানিতে তলিয়ে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক। তবে তাদের পুষিয়ে দেয়ার জন্য গম, ভূট্টা, সরিষাসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি