স্টাফ রিপোর্টার লামা বান্দরবান: বান্দরবানের লামার উপজেলায় ফাইতং ইউনিয়ন নয়াপাড়া মৃত দাদি- মোচামৎ আম্বিয়া খাতুন স্বামী মৃত আবুল বশর সওদাগর নামীয় ও ভোগ দখলীয় ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় আর/২৫ নং হোল্ডিং এর খতিয়ান নং ১৬, জরিপের দাগ ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫১৯,১৫২০ অংশে ও ১৯৭১-৭২ইং সনের এবং বন্দোবস্তি মোকদ্দামা নং ০৬/১৯৮৪-৮৫ এর ২.৪৪ একর প্রথম শ্রেণীর এই নাল-জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক, মমতাজ বেগম,মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, মনিরা আক্তার, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেলিনা আক্তার পিতা মৃত রফিকুল ইসলাম দীর্ঘবছর শান্তিপূর্ণ’ভাবে বর্গ চাষা দিয়ে চাষাবাদ করছেন। (গত ১৯৫৯ ইং) কাপ্তাই হৃদ ভাঙনের ফলে অত্র এলাকায় শরণার্থী হিসেবে এসে দাদার আমল হইতে স্ব- পরিবারে বসবাস করিয়া আসছেন। জায়গা মালিক, বেলাল উদ্দিন গত ১ বছর পূর্বে আমি তপশীলোক্ত জায়গায় একটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে আসছেন। অভিযুক্তরা বিভিন্ন কায়দায় আমার ভোগ দখলীয় তপশীলোক্ত জমিসমূহ জোরপূর্বক জবরদখলে পাঁয়তারা করে গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮টায় পরবর্তী ১৮ ডিসেম্বর লামা থানা অভিযোগ করেন জমির মালিক মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন। অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন- দু’পক্ষই এলাকার প্রতিবেশী ও আত্মীয় হয় ১/ রেজাউল করিম, পিতা আবু তাহের ২/ নাজেমুল ইসলাম মানিক (মেম্বার) পিতা মৃত আবুল বশর ৩/ শেখ আহম্মদ মৃত ছৈয়দ আহম্মদ সিকদার সহ’৭/৮জন অজ্ঞাতা উভয় সাং নয়াপাড়া ৬নং ওয়ার্ড ফাইতং লামা বান্দরবান। অভিযোগ তদন্ত করতে পুলিশ যাওয়া শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নাল-জমির একপাশে থাকা গাছ কেটে ও তারা বেরা দিয়ে দখল নিতে বিভিন্ন কৌশলে জবরদখল ও ভূমি দস্যুরা জোরপূর্বক ঘটনা ঘটায়। অভিযুক্তরা হলেন, রেজাউল করিম ও শেখ আহম্মদ দুই-ছেলে নুরুল আলম, সেলিম উদ্দিন। ঘটনাস্থলে বেলাল উদ্দিনের ফুফাতো ভাই মামুন এসে কাজ বন্ধ করতে বলে যার যা কাগজপত্র আছে তা নিয়ে সমাধান করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রফিকুল ইসলাম ওয়ারিশ গং এর জমির একপাশে গাছ কাটেন, জমি দখল করে নিতে চাই অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা। অভিযুক্তরা বলেন, আমরা এ’জমি মেম্বার নাজেমুল ইসলাম মানিকের কাছ থেকে ক্রয় করছি তাই মালিক আমরা। মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, শান্তিপ্রিয়, সহজ-সরল ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ হই। অপরদিকে অভিযুক্ত’গণ ভূমিদস্যু, জবর দখলকারী বেপরোয়া সর্বোপরী দেশের প্রচলিত আইন অমান্যকারী প্রকৃতির লোকজন হয়। আমার দাদীর মোচামৎ আম্বিয়া খাতুন নাল-জমিন দীর্ঘ বহু বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে স্থিত আছি। সম্প্রতি অভিযুক্তগণ তপশীলোক্ত জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করিয়া গাছ কাটিয়া তারা বেরা দিয়ে দখল নেন। উল্লেখ: থাকে যে, গত ২০১৯ সালে আমাদের মৌরশী স্বতীয় মাটির তৈরী দেওয়াল টিনের ছাউনীযুক্ত বসত গৃহ দখল করিয়া রাতারাতী ধ্বংস স্তুুপে পরিনত করে লক্ষ-লক্ষ টাকার মালামাল লুট বসত গৃহের চতুপার্শ্বে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান অনেক গাছ লুট করিয়া নিয়ে যায় নাজমুল ইসলাম মানিক (মেম্বার)। লামা থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো সুরাহা না পাওয়ায়, তৎক্ষালীন চট্টগ্রাম ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল অভিযোগ করি, অভিযোগ প্রতিবেদন আছে। এ বিষয় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ফাইতং ফাঁড়ি এএসআই রিলান চাকমা তদন্ত করছেন।
Leave a Reply