মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট: বেশ কিছু দিন আগে, টানা থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির পর বেশ সুন্দর হয়ে উঠেছিল তাপমাত্রা। দিনে গরম আর শেষরাতে অনুভূত হচ্ছিল হালকা শীত। এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে আবহাওয়া এমনই ছিল। তবে আজ শনিবার কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা। সকালটা ছিল উত্তর জনপদের মানুষের জন্য কিছুটা ভিন্ন রকম। মনে হয় খবর দিচ্ছে শীতের আগমনের। গতকাল দিনভর রোদের তীব্রতা ছিল কিছুটা বেশি গত কয়েক দিনের তুলনায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশ হালকা মেঘলা হওয়ার পাশাপাশি রাতভর ঝরছিল হালকা কুয়াশা। আজ ভোরবেলায় বেড়ে যায় সেই কুয়াশার পরিমাণ। সদর উপজেলার নামাটাড়ী এলাকায় হাঁটতে বের হওয়া আব্দুল মান্নান (৪৫) নামের একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হই। তবে আজকের সকালটা এ বছরের মধ্যে একটু অন্য রকম মনে হলো। মনে হচ্ছে শীতের দিন চলে এসেছে,চারদিকের সাদা কুয়াশা। অথচ অর্ধেক রাত পর্যন্ত ঘরে ফ্যান চালছে। আজ সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। সকালে কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে বের হয়েছেন। কেউ কেউ শ্রমজীবীদের অনেকেই আবার ছুটছেন কাজের খোঁজে। শিক্ষার্থীদের কেউ বের হয়েছেন প্রাইভেট পড়তে। গাছের পাতা, সবুজ ধানের খেত আর ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু জমেছে কুয়াশার কারণে। রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার মুঠোফোনে দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সংবাদ কর্মীকে বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বরের শেষে ও ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়বে। আরও বলেন এটাকে উত্তরাঞ্চলে শীতের আগমনী বার্তা বলা যেতে পারে। গত কয়েক দিনের তুলনায় লালমনিরহাটে আজকে আকাশে মেঘও বেশি। বর্তমানে লালমনিরহাটে আকাশে আট ভাগের সাত ভাগই মেঘে ঢাকা। এখন থেকে লালমনিরহাট দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
Leave a Reply