1. admin@pressbd.online : admin :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তরুণ ও প্রতিবাদী সাংবাদিক মুজাহিদ হোসেন ‘মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অর্জন করেছেন দ্বিতীয়বারের মতো বান্দরবানে ঐতিহাসিক রাজার মাঠে প্রথম বার জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ঈদগাঁও থানার উদ্যােগে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত  ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি নারী পুরুষ  বেনাপোলে হস্তান্তর  খুলনায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবিষ্কারক ডাঃ হ্যানিম্যান এর ২৭০তম জন্মবার্ষিকী পালিত  পটিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায়  গৃহবধু ও বৃদ্ধ মহিলা সহ আহত- ৩ রূপগঞ্জ ভুলতা ফ্লাইওভার করে কোন লাভ হয়নি, সড়কের যানজট লেগেই থাকে গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ জনকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে ভর্তি পুলিশ সুপারের বিদ্যালয় পরিদর্শন : শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল আসক্তি ও ট্রাফিক সচেতনতা বিষয়ে দিকনির্দেশনা গুইমারায় উপজেলা বিএনপির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত 

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে নির্ধারিত সময়ে জমিতে পানি না পাওয়ায় হতাশ কৃষক

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫০ বার পাঠ করা হয়েছে

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সেচ প্রকল্পের নাম মেঘনা-ধনাগোধা সেচ প্রকল্প। যা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়ন ১৩ হাজার ৬শ’ ২ হেক্টর জমি নিয়ে গঠিত। নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ এলাকায় সেচের পানি না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা।এর আগে কৃষকরা পানি না পাওয়ায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। পরে হটাৎ তড়িঘরি করে ২০ জানুয়ারি এই সেচ প্রকল্পের কালীপুর ও উদামদী পাম্প হাউজে পানি সেচের উদ্বোধন করে। উদ্বোধনের পর উদামদি পাম্প হাউজে ১০ মিনিট পানি উত্তোলন করলেও কালীপুর পাম্প হাউজে ১৩ সেকেন্ড পরই সূঁচ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে আবারও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৫ জানুয়ারি পানি দেওয়া শুরু করে। তবে সেচ প্রকল্পের ক্যানেল পরিস্কার ও কালভার্ট নির্মাণ করার কাজ চলমান থাকায় অধিকাংশ কৃষকরা এখনো কাঙ্ক্ষিত পানি পায়নি। এদিকে এখলাছপুর ও ডুবগী দুইটি বোস্টার পাম্পে আওতায় সেচ সুবিধা পায় কলাকান্দা, মোহনপুর, এখলাশপুর ও গজরা ইউনিয়নের বেশি ভাগ জমি। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সরজমিনে দেখা যায় পাম্পের রিজার্ভে পানি আসছে। এই বোস্টর পাম্পগুলো ১/২ ঘন্টা চালিয়ে বন্ধ করে দেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ জমি বোরো চাষের আবাদের জন্য প্রস্তুত করেছে কৃষকরা। জমিতে পানি না পাওয়ায় বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন ক্যানেলে এখনও সংস্কার কাজ চলছে। ক্যানেল বন্ধ করে চলছে কালবার্ট ও ব্রীজ নির্মাণ। তাই কিছু ক্যানাল এখনো পানি শূণ্য। মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানা যায়, এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৯শত ৮৪ হেক্টর ও উৎপাদন ৪৩ হাজার ১শত ৪৬ মে.টন। বীজতলা করার উপযুক্ত সময় ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর। ধানের চারার বয়স ২১ দিন থেকে ৪০ দিন। ৪০ দিনের চেয়ে বেশি চারার বয়স বাড়তে থাকলে ক্রমেই উৎপাদন কমতে থাকবে। অধিকাংশ কৃষকরা এখন পর্যন্ত সেচ সুবিধা না পাওয়া বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। তাই উৎপাদনে বিপর্যের আশঙ্কা রয়েছে। ইসলামাবাদ ইউনিয়নের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, আমার এলাকায় ক্যানেলের কাজ হচ্ছে। পানির জন্য চারা রোপন করতে পারছি না। কলাকান্দা কলাকান্দা ইউনিয়নের কৃষক বোরহান উদ্দিন মোল্লা জানান, দশানী এলাকায় বেড়ি বাধেঁ সাথের ক্যানেলে কাজ চলছে। কবে পানি পাবো বলতে পারছি না। সরষিা চাষি আল মামুন জানান, উচু জমিতে সরিষার চাষ করেছি। এখানে সেচের পানি আসে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, বোরো মৌসুমে (সঠিক সময়ে) সেচ ক্যানালে এখন পর্যন্ত পানি পাচ্ছে না বলে কৃষকরা ফোন যানাচ্ছে। তাদের চারার বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। এদিকে ধানে চারার তলার বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে চারা রোপন করতে না পারলে বোরো মৌসুমের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন,বোরো মৌসুমের জন্য এখনও কৃষক পানি পায়নি অভিযোগ রয়েছে। সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে জানতে পেরেছি। আমি এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলবো। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল নাম্বারে কল করার পর রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি