মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু বিশেষ প্রতিনিধিঃ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউপির নাওড়াইলে সরকারি খাস পুকুরের মাটি কেটে অবাধে মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার ঠিকাদার রাজুর বিরুদ্ধে। জানা যায়, জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউপির নাওড়াইল গ্রামের ২ বিঘা সরকারি খাস পুকুরের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠে ঐ উপজেলা ঠিকাদার রাজু বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার কয়েকজন সংবাদকর্মী সরিজমিনে যান নাওড়াইল গ্রামে। সরিজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হাওয়া যায়। দুইটি ডেজার মেশিনে করে মাটি কাটা হচ্ছে এবং ২০-২৫ টি ট্রাকে করে মাটি বাহিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবাধে মাটি কাটা হচ্ছে পাশাপাশি নেই কোনো সাইনবোর্ড। দায়িত্ব থাকা কয়েকজনের কাজে জানতে চাইলে তারা জানান, এটি সরকারি খাস পুকুর সংষ্কার করে সরকারি কবরস্থানে মাটি দিয়ে তা ভরাট করা হচ্ছে। সরকারি কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা কিছু জানি না। জানেন ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ এবং আরেক জন চাকুরী করেন রাসেল। তাদের ফোন নম্বর চাইলে তারা জানান তারা জানেন না। জানেন সেখানে দায়িত্বে থাকা সুমন ও সুজন। এ বিষয়ে উত্তর হরিপুর গ্রামের ইজাবুল জানান, সরকারি খাস পুকুরের মাটি কেটে অবাধে মাটি বিক্রি করছে ৪০০-৫০০/- টাকা করে গাড়ি বিক্রি করছে। ক্ষেতে কাজ করার সময় একই অভিযোগ তুলেন ঐ গ্রামের কৃষক আজাদ হোসেন। তিনি আরও জানান, তারা এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে পাশাপাশি আমাদের জমিগুলো ও একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি ও নষ্ট করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ গ্রামের আরেক ব্যক্তি জানান, আপনারা সামনে গেলে দেখতে এক বাড়িতে মাটি দিয়েছে ১৫০০০/- টাকার বিনিময়ে। তবে তারা যে দাবি করছে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে না তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জানতে চাইলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাটিক্রেতা জানান, আমি আমার এই জমি ভরাট করার জন্য ৯১০০/- টাকা সুমনের কাছে চুক্তি করে মাটি কিনে নিয়েছি। এ বিষয়ে দায়িত্ব পালনকারী সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভাই আমি কবরস্থানে মাটি ভরাট করে নেওয়ার দায়িত্বে আছি। প্রতিদিন ১০০০/- টাকা বেতন চুক্তিতে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। তবে সব জানেন মহাদেবপুরের রাজু ভাই এবং এ্যাসোস এনজিওর কর্মী রাসেল ভাই, কামাল ভাই। এ বিষয়ে এনজিও কর্মী রাসেল এ-র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মুঠোফোন টি রিসিভ করেন নাই। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজু ট্রেডার্সের রাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অনুমতি আছে কিনা আপনারা মহাদেবপুরে এসে দেখে যান। অনুমতি যদি থাকে তবে আপনার দায়িত্বরত লোকজনের কাছে কাগজ নেই কেন? সাইনবোর্ড নেই কেন?প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তোর দিতে পারেন নি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনারা রাজুর কাছে ফোন দিয়ে সব জেনে নেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মহাদেবপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা জানতাম না আপনাদের কাছ থেকে জানলাম। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। উক্ত বিষয়ে জানতে চেয়ে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। রাস্তা নষ্টের বিষয়ে মহাদেবপুর এলজিডি প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তা নষ্ট করে এভাবে মাটি ঢলাই করার নিময় নেই। আমি অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
Leave a Reply