তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ ভৌগলিক সুবিধার কারণে ৫ উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ। এতে রোগীর চাপ অতিরিক্ত লেগেয় থাকে। তার মাঝে ঔষধ ও ডাক্তার তো সংকট রয়েছেয়। আর এ সংকটের মাঝেই বহির্বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব থাকা এস.এ.সি.এম.ও মোঃ বাবুল খান এখন জনগণের ভালবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ।জানা যায়, তিনি ২০০৯সাল থেকে চিকিৎসক হিসাবে অত্র হাসপাতালের সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এ এক যুগের মধ্যে কোন মিথ্যা বা আকারণে কাঠাননি একদিনও ছুটি বরং কোন অনুষ্ঠানে গেলেও আগে ডিউটি কে প্রাধান্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করে তারপর গিয়েছেন। শিশুদের সেবা দিতে ঝড়-ভাদলেও দেখা গেছে তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগের চেম্বারে আছেন এবং কি ঠিক সময়ে প্রতিদিন এসে দায়িত্ব পালন করছেন। ৯টায় হাসপাতালে এসে যতক্ষণ পর্যন্ত রোগী থাকেন ততক্ষণ পর্যন্তই দায়িত্ব পালন করেন। হাসপাতালের জরিপ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি রোগী দেখেন তিনি। এছাড়াও রোগীদের স্বার্থে সবচেয়ে কম ছুটি কাটিয়েছেন তিনি। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের সাথে কথা বললে উনারা জানান, আমরা হাসপাতালে এসে যদি কোন ওয়ার্ডে ডাক্তার নাও পাই ঠিকই এ ওয়ার্ডের ওই ডাক্তার/চিকিৎসক কে পাওয়া যায়। তবে উনি খুব ভালো মনের মানুষ শিশুদের সাথে খুব ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে উনি চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও উনার সাথে কথা বলার আগে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে ভালো মন্দের কথা জিজ্ঞাসা করে কথা বলেন। তিনি শিশুর সমস্যার কথা গুরুত্ব সহকারে আগে শুনে তারপরে চিকিৎসা সেবা দেন। আর উনি যেসব চিকিৎসা দেন শিশুদের কে এক থেকে দুইবারের বেশি ডাক্তারের কাছে আসতে হয় না। আর প্রয়োজন ছাড়া কোন বাড়তি ঔষধও লিখেন না। আর শিশুদের অভিভাবকদের প্রেসক্রিপশন হাতে দেওয়ার আগে বুঝিয়ে দেন কোন ঔষুধ টা কি ভাবে কেমনে খাওয়াতে হবে। ওনার মত একজন চিকিৎসক পেয়ে সত্যিই আমরা গর্বিত। প্রতিটা চিকিৎসকের আচার ব্যবহার ও চিকিৎসা সেবাটা উনার মত প্রয়োজন। এখনো পর্যন্ত কোন রোগীর স্বজনদের প্রতি অযেহেতু ক্ষুব্ধ হয়ে কোন কথা বলেননি। অত্র হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির সংবাদকর্মী তপু রায়হান রাব্বি কে জানান, উনার বিষয়ে কি বলব! আমি আসার পর থেকেই দেখে আসছি উনি কখনোই দেরি করে হাসপাতালে আসেননি এছাড়াও ওনার চিকিৎসা সেবাই রোগীরাও সন্তুষ্ট বোধ করেছেন। উনার বিষয়ে এখনো কোন এখনো একটি মৌখিক কমপ্লেইন বা অভিযোগ পায়নি। আর উনি অসুস্থ ছাড়া অত্র হাসপাতালে মনে হয় সবচেয়ে কম ছুটি কাটিয়েছেন। উনার মত একজন কর্মী পেয়ে আমরাও গর্বিত।
Leave a Reply