ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ– পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি সংস্কৃতির এক আনন্দঘন প্রকাশ। ‘নতুন ধানে নতুন প্রাণে চলো মাতি পিঠার ঘ্রানে’ এই প্রতিপাদ্যে সেনহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী সকালে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মাকসুদা খানম উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন। এ সময়ে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, গ্রীন লাইফ দিঘলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা শেখ রওশন আজাদ, সেনহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শেখ মোহাম্মদ আলী মিন্টু এবং সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য আলেয়া পারভিন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিভাময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক লিপি খাতুন, দিঘলিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী টুটুল, সেনহাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মেহেদী হাসান, মু. ইলিয়াস হোসাইন , আলাউদ্দিন, হেদায়েত হোসেন, আনোয়ার হোসেন সহ আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পিঠা মেলায় ৩৫ থেকে প্রায় ৪০ প্রকার পিঠা নিয়ে ১০টি স্টল স্থাপিত হয়। সেনহাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী মিথিলা আক্তার জিম বলেন, আমরা এই পিঠা উৎসবে ৫,০০০ টাকার পিঠা বিক্রি করব এটাই আমাদের টার্গেট, সকাল ৯ থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত ৩০০০ টাকার পিঠা বিক্রয় করেছি। পিঠা উৎসবের উদ্বোধক মাকসুদা খানম বলেন, সংস্কৃতি হল একটা জাতির ধারক ও বাহক। যে জাতি সংস্কৃতিতে যত উন্নত সে জাতি তত সমৃদ্ধশালী। সংস্কৃতি চর্চা না থাকলে সে জাতি টিকে থাকতে পারে না। সংস্কৃতি চর্চার অভাবে পৃথিবী থেকে অনেক জাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমরা বাঙালি আমাদেরও রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। যার একটি হলো পিঠা উৎসব। তাই এই পিঠা উৎসবের চর্চা আমাদের ধরে রাখা প্রয়োজন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রসে ভেজা চিতাই পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, কুলি পিঠা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। এ সকল পিঠা হারিয়ে গেলে আমরা এ সকল পিঠার সাধ হতে বঞ্চিত হব। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরা বাঙালি- আমাদের বাংলা সংস্কৃতির ভিতরে থাকতে হবে বলে সকল পিঠা প্রেমীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি ।
Leave a Reply