মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন লালমনিরহাট: আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যেবাহী অনেক খেলাধুলা কালের বিবর্তনে আজ বিলুপ্তির পথে রঙ-বেরঙের ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা। দীঘদিন পর সেই রঙ-বেরঙের ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা দেখতে লালমনিরহাটে হাজারও নারী পুরুষের ঢল নেমেছে।বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে লালমনিরহাটের বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে চার ব্যাপী রঙ-বেরঙের ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতার তৃতীয় দিনে হাজারও নারী পুরুষের ঢল নেমে। এরআগে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে খেলার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। এ ছাড়াও গ্রাম বাংলার অন্যতম খেলার মধ্যে রয়েছে, দাঁড়িয়াবান্ধা, চকরচাল, ঠুস, ঘুড়ি উড়ানো, সাঁতার প্রতিযোগিতা। তবে ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে পার্শ্ববর্তী জেলার সববয়সের হাজারও নারী-পুরুষ ভীড় করছে।এ ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা পাশাপাশি ওই মাঠে বসানো হয়েছে ছোট মেলা। হরেক রকমের পোসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। ছোট ছোট বাচ্চাদের ট্রেন, নাগরদেলাসহ বিভিন্ন রাইড। তবে এসবের মধ্যে আগত উৎসুক জনতা ঘোড় দৌঁড়কেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতার সাওয়ারি রফিকুল বলেন, রঙ-বেরঙের ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতা দেখতে লালমনিরহাটে আজ হাজারও নারী পুরুষের ঢল নেমেছে। ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতার অনেক সাওয়ারি তাদের সাথে টগবগিয়ে খুরের আওয়াজ তোলা ঘোড়া নিয়ে এসেছে। ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন জেলার সাওয়ারিরা ঘোড় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ প্রতিযোগিতার আয়োজক কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও ঘোড়ার দৌঁড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। ঘোড় দৌঁড় ছাড়াও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য দাড়িয়াবান্ধা, চকরচাল, ঠুস, ঘুড়ি উড়ানো ও সাঁতার খেলার প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী পুরস্কৃত করা হবে।
Leave a Reply