
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
চাকুরী জাতীয়করনের একদফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করেছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরে জেলা রেজিস্টার অফিসে নকল নবিশদের অনশন কর্মসূচি পালন করছে। জেলা রেজিস্টার অফিসের নফল নবিশ সভাপতি মোঃ নূরনবী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। চলমান কর্মসূচিতে কুড়িগ্রাম জেলার রেজিস্টার সহ জেলার সকল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশবৃন্দ। সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার (নকল নবিশ) এসোসিয়েশন কুড়িগ্রাম জেলা শাখা একদফা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন অব্যাহত রেখেছে। ফলে বেকায়দায় পড়েছে সেবা নিতে আসা শত শত সেবা গ্রহীতা। উলিপুর উপজেলা সাব রেজিস্টার কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা সবুজ মিয়া জানান, আমি জমি ক্রয় করে তা রেজিস্ট্রি করে নামজারি করার জন্য সার্টিফাই কপি উঠাতে দিয়ে এক ৩ সপ্তাহ ধরে ঘুরতেছি কিন্তু কর্মবিরতি কারনে উঠাতে পাচ্ছিনা। আরেক সেবা গ্রহীতা মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যাংক মর্গেজ দলিল করছি কিন্তু সার্টিফাই কপি উঠাতে না পারায় ব্যাংক লোন করতে পাচ্ছিনা। ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং উলিপুর সাব রেজিস্টার অফিসের নকল নবিশ দের সভাপতি শ্রী প্রফুল্ল কুমার ও সাধারণ সম্পাদক জাকির আলম জানায়, একটি সরকারি অফিস মাত্র কয়েকজন কর্মচারী নিয়ে চলতে পারেনা। প্রতিটি অফিসে ২০ থেকে ৩০ জন নকল নবিশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে কিন্ত কোন নকল নবিশ সরকারি বেতন ভাতা পায়না। গ্রহিতার নিকট হতে এন ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত প্রতি পৃষ্ঠা ৬০ টাকা আদায় হলেও নকল নবিশরা মাত্র ৩৬ টাকা পৃষ্ঠা মূল্যে দলিলের বালাম কপি করে থাকে। মাসে মাত্র অল্প কিছু টাকা পারিশ্রমিক পায়। নকল নবিশরা প্রতিটি অফিসের মূল চালিকাশক্তি। বৃট্রিশ আমল থেকে নকল নবিশরা একই ভাবে চলে আসছে তাই অবিলম্বে নকলনবিশদের চাকুরী জাতীয়করণ করার দাবী জানান তারা।এ বিষয়ে নকল নবিশরা জানান, আমাদের কলম, খাতা এবং বসার স্থানটা পর্যন্ত সরকারি অফিসে। কিন্তু আমাদের চাকরি সরকারি নয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে নকল নবিশদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে অন্যথায় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি চলমান থাকার ঘোষণা জানান।
Leave a Reply