মো: রমজান আলী, বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান সদর উপজেলা সুয়ালক ইউনিয়নের কদু খোলা (প্রকাশ ডাইক্কাখোলা) ৩ নং ওয়ার্ড এর স্থায়ী বাসিন্দা আইয়ুব আলী বন্য হাতির আক্রমণে এমনিতেই অনেক ক্ষতিগ্রস্ত তার উপর মানুষ রুপি কিছু অমানুষ কাপুরুষের ন্যায় রাতের অন্ধকারে অভিযোক্তরা নিজে ও তার সঙ্গীয় লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অসহায় আয়ূব আলীর বাড়িঘর ভাংচুরসহ সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি সাধন করে। ভুক্তভোগী আয়ূব আলী কমান্ডার মহোদয় ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড বান্দরবান সেনানিবাস ও বান্দরবান সদর থানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তিনি লিখিত বক্তব্যে প্রতিবেদক কে জানান, আমি মোঃ আয়ুব আলী, পিতা- মৃত: আমিন শরীফ, সাং- কদুখোলা, ৩নং ওয়ার্ড, সুয়ালক ইউনিয়ন, বান্দরবান সদর, বান্দরবান পার্বত্য জেলা। আমি এই মর্মে অত্র কার্যালয়ে হাজির হইয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, গত ২৫/১১/২০১৪ইং তারিখে আমি আমার ৩১৪ নং সুয়ালক মৌজার ২৮৬নং হোল্ডিংয়ের জায়গার উপর ১০টি পাকা পিলার ও রঙিন টিন টিন দিয়ে বসতঘর নির্মাণ করি। উক্ত বসতঘরটি গত ২৮/১১/২০২৪ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় অভিযোক্ত ব্যক্তিগণ আমার বসতঘরটি ভেঙ্গে দেয়। উল্লেখ্য যে, নিম্নে বর্ণিত অভিযোক্তব ব্যক্তিগণ আমাকে অনেকদিন যাবৎ জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে থাকে যার কারণে আমি বেশ কিছুদিন ধরে বাড়ির বাহিরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ঘর ভাঙ্গার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে মহোদয়ের নিকট পার্শ্বেলিখিত ব্যক্তিরগণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
অভিযোক্তরা যথাক্রমে
১। নুরুল আমিন (১),পিতা- সালেহ আহমদ সাং- মৌলভী পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, পদুয়া, তেয়ারি হাট, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।২। তৈয়বুর রহমান,পিতা- মাও: আব্দুর রশিদ সাং- মৌলভী পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, পদুয়া, তেয়ারি হাট, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম। ৩। নুরুল আমিন (২),পিতা- হাবিবুর রহমান,সাং- থোয়ানিয়া পাড়া, চেমশা ইউনিয়ন, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।,৪। আবুল হাশেম,পিতা- আহমদ কবির,সাং- মনুপাড়া, ৭নং ওয়ার্ড, ছদাহা, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম। অজ্ঞাত আরো অনেকে। তিনি সাংবাদিকের ক্যামরার সামনে জবানবন্দি প্রদান করে বলেন, আমি দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত উক্ত এলাকায় বসবাস করিয়া আসছেন। বিগত-২০১৪ সালে উসিমং মারমা(প্রকাশ মিন্ঠু) হতে তিনি জায়গা ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জায়গার পরিমাণ ৫ একর ১ম শ্রেণির। কিন্তু জায়গা কেনার পরে গাছ রুপন করিলে কিছু দিন পরে বল্লি আমিন, তৈয়বুর রহমান,আবু তৈয়ব, হাসেম,আবু তাহের, মির আহম্মেদ তারা সবাই লোকজন নিয়ে ২০১৫ সালে জোর করে বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যায়। এই ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিলে কোন বিচার পাইনি বরং ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বার’সহ অভিযোক্তারা আমার জায়গা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করতে থাকে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বড় নেতারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিতেন সবসময় তাদের মধ্যে উল্লেখ মৃত ইসলাম বেবি, জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান, আবচার,রফিক সহ অন্যান্যরা। এব্যাপারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী’সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য মানবিক আবেদন করেন অসহায় আয়ূব আলী। দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ন্যায় বিচার করা হলে মানুষ আইনের প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হবে।
Leave a Reply