চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিজয় মিছিলে ছাত্রদলের নেতার ছুরিকাঘাতে অপর একজন ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়,ছাত্রদলের ব্যানারে ছবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় মোহাম্মদ সিজান (১৯) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। সোমবার ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে পটিয়া উপজেলার বিএনপির কার্যালয় সামনে এ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। গুরুতর আহত মোহাম্মদ সিজান পটিয়া উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়ন উত্তর শ্রীমাই গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড নুরুল হকের পুত্র। ব্যানারে ছবি না দেওয়ায় একই এলাকার মোহাম্মদ মিজান ছাত্রদল নেতার সঙ্গে সিজানের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মিজান ছাত্রদল সিজানকে কোমড়ের ছুরিকাঘাত করে। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। হামলাকারী ও আহত দুই জন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা এনামুল হক এনামের অনুসারী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা এনামুল হক এনামের পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল, শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জন্য আয়োজন করে। পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ডখন্ড মিছিল দলীয় কার্যালয়ে সামনে জড়ো হয়। উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়ন থেকে একটি বিজয় মিছিল দলীয় কার্যালয়ে আসার সময় ছাত্রদল নেতা মিজান ও সিজানের সঙ্গে ব্যানারে ছবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয়। তাদের বিজয় মিছিলটি বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে এক পর্যায়ে মিজান ছাত্রদল নেতা সিজানকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সাদিয়া সুলতানা জানান, কোমড়ের নিচের ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কারণে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।কচুয়ায় ইউনিয়ন সাবেক মেম্বার জাকির হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতে আহতের বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। তবে বিএনপির নেতা মাধ্যমে বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমকে ফোন করা হলে ঘটনা অস্বীকার করেন এবং কিছু জানেন না বলে তিনি জানান।
Leave a Reply