মো. ইসমাইলুল করিম, নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় সারের গোডাউন সরকারি কোয়ান্টাম নামে পরিচিত। এ গোডাউনে ২০১৭ সালে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মো. আনিসুল মোস্তফা আনিস। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় কৃষক’দের মাঝে সরকারি বীজ, সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সরকারি চাকরি পাওয়ার পর থেকে তিনি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেন না। স্থানীয় এক নেতার প্রভাব কাটিয়ে আনিসুল মোস্তফা আনিস দিন-দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে অনুসন্ধান করলে সরকারি জায়গা থেকে লক্ষ টাকার বেশি গাছ বিক্রি ও লুটপাটসহ একাধিক অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে। এবিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, আনিসুল মোস্তফা আনিস কর্তৃক সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়টি সেখানে দাঁড়িয়ে দেখলে তাদের তাড়িয়ে দিতে তার স্ত্রী এলাকার ছেলেদের সাথে খারাপ আচরণ করে। গত ২/৩দিন গোডাউনে সরকারি কোয়ান্টামের গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল মোস্তফা আনিস। সরকারী জায়গার গাছ কাটতে হলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরপত্র আহবান করার নিয়ম থাকলেও তার কোন কিছুই তোয়াক্কা করেননি তিনি। গাছ কাটার পূর্বে বন বিভাগের স্থানীয় বিট কর্মকর্তার অনাপত্তি সনদপত্রেরও প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। এসব নিয়ম না মেনেই ফাইতং ইউনিয়ন গোডাউন সরকারি কোয়ান্টামের গাছ কেটে বিক্রি করছেন তিনি। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল মোস্তফা আনিসের কাছে বিনা দরপত্রে সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গাছ কাটছি, সেটি আমার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহোদয় আছেন, তিনিই বুঝবেন এব্যাপারে। তার এমন বক্তব্যের ভিত্তিতে লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা ছাড়া সরকারি গাছ কোনো মতেই কেউ কাটার সুযোগ নেই। আগামীকাল আমার একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শন করবে এবং সে মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply