সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকা-চট্রগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের শিমরাইল, ভুলতা ও কাঁচপুরে নিষিদ্ধ যানবাহন সিএনজি, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, লেগুনা, নাফ পরিবহন, শিমরাইল পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহন অবাধে চলাচল ও মহাসড়কজুড়ে ফুটপাত এবং কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধকরনসহ মহাসড়কে শৃ্খৃলা ফিরিয়ে আনার জন্য সাংবাদিকদের সাথে গতকাল শনিবার দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের কাঁচপুর থানা ভবন এক মতবিনিময় সভা করেছে হাইওয়ে পুলিশ কাঁচপুর থানা পুলিশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) ড. আ,ক,ম আক্তারুজ্জামান বসনিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত) সীমা রাণী দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই মো. আবু নাঈম সিদ্দিকী, ভুলতা ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই আলী আশরাফ ও ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. হুমায়ুনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় সিদ্ধিরগঞ্জ, রুপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও বন্দর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার অর্ধশত সংবাদকর্মী অংশ গ্রহন করেন। সংবাদকর্মীরা কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি কাজী ওয়াহিদ মোরশেদের বিরুদ্ধে যানবাহন, ফুটপাত ও থ্রীহুইলার থেকে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগসহ মহাসড়কে নানা বিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরেন প্রধান অতিথির কাছে। কাঁচপুর থেকে শিমরাইলমোড়ে উল্টোপথে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত ইজবাইক অবাধে চলাচল করছে হাইওয়ে পুলিশের ওসি ওয়াহিদ মোরশেদকে ম্যানেজ করে রয়েছে মহাসড়কজুড়ে[ অবৈধ দোকানপাট। বাস, মিনিবাস, কাভার্ডভ্যান, ট্রাক পিকাপ ও নিষিদ্ধ যানবাহন থেকে ওসি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ওসি কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার ( অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) ড. আ,ক,ম আক্তারুজ্জামান বসনিয়া মতবিনিময় সভায় সংবাদকর্মীদের উত্থাপিত অভিযোগ ও সমস্যা গুলো ধৈর্য্যধরে শুনেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দিয়ে বলেন মহাসড়কে শৃ্খৃলা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। পুলিশের অন্যায় অপরাধ করছে স্বকিার করে প্রধান অতিথি বলেন, পুলিশ ভাল কাজও করছে, ৫ আগষ্টের পর গত অক্টোরবর মাসে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের সকল এলাকায় মাত্র ২০০ যানবাহনের নামে মামলা হয়েছে আর সেখানে আমরা গত ডিসেম্বর মাসে এক মাসে ৬ হাজার ৬০০ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
Leave a Reply