মোহাম্মদ জুবাইর, চকরিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বামী শওকত হাসান মেহেদীর (২৩) চুরিকাঘাতে স্ত্রী উম্মে হাফছা তুহি (১৮) নিহত এবং শ্বাশুড়ি গুরুতর আহত। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ১টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত উম্মে হাফছা তুহি চকরিয়া পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড মাদ্রাসা পাড়ার নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে। খুনি মেহেদী হাসান (২২) ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজমুল্লা পাড়ার মরকাজ মসজিদ সংলগ্ন আবুল কাসেমের ছেলে। সে পেশায় ইলেকট্রিক মেস্ত্রী। নিহতের পিতা সাংবাদিক আব্দুল হামিদ জানান, গত আট মাস পূর্বে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জের ধরে আমার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে খবর দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার স্বামী মেহেদি আমার বাড়িতে আসে। শুক্রবার সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে আমার স্ত্রীসহ তাকে বাঁধা দিই। আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আসলে যেতে দিব বলার পর মেহেদি চলে যায়। আজ বাড়ির সব পুরুষ জুমার নামাজ আদায় করতে গেলে, এ সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে এসে ঘাতক শওকত হাসান মেহেদী অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি চুরিকাঘাত করে আমার মেয়ে কে হত্যা করে। আমার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৮) মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করতে গেলে তাকেও উপর্যুপরি চুরিকাঘাত করে ঘাতক ঘটনা স্হল থেকে পালিয়ে যায়। আমার গুরুতর আহত স্ত্রী কে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশংকা হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চকরিয়া থানার ওসি মো. মনজুর কাদের ভুইয়া জানান, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে অভিযানে চালাচ্ছে।
Leave a Reply