নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ৩ নং কল্যাণ পুর ইউনিয়ন দাসাদী বাজার ঈদগাহ মাঠে আলোচনা সভা ও আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কার্যনির্বাহী অন্যতম সদস্য, চাঁদপুর ৩ আসনের মাটিও মানুষের নেতা সাবেক চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সেন্ট্রাল ছাত্র নেতা জনাব মোস্তফা খাঁন সফরী। আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাফিউল ইসলাম ওয়াসিম পাটোয়ারি, তেজগাঁও থানা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আজাদ খাঁন আরজু, তেজগাঁও থানা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ৩ নং কল্যাণ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আলআমিন, মতলব উত্তর যুবদল নেতা মোঃ কামাল প্রধান, সাংবাদিক শ্যামল, কল্যানপুর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়ার সহ সভাপতি মোঃ বনি আমিন সরকার, কল্যানপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ রাসেদ হাওলাদার, মোঃ সাহাদৎ শেখ, ছাত্র নেতা শাহআলম গাজী, সাহাবুদ্দিন গাজী, রুবেল খাঁন, শান্ত সুত্রধর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছেন।জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার ডাক নাম ছিলো কমল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। পিতার চাকরির কারণে জিয়াউর রহমান কলকাতা হেয়ার স্কুলে লেখাপড়া করেন। ভারতবর্ষ ভাগের পর তার বাবা সপরিবারে পাকিস্তানের করাচিতে চলে গেলে তখন জিয়াউর রহমান করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। করাচি একাডেমি থেকে তিনি ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে করাচিতে ডিজে কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। সামরিক বাহিনীতে তিনি একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেনী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড-ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার ১০ দিন পর জিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন জিয়াউর রহমান দেশে আবার গণতন্ত্রায়নের উদ্যোগ নেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর সিদ্ধান্ত নেন। দেশের রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির আভাস দিয়ে তিনি বলেন, will make politics difficult for the politicians. ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন।১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শহীদ হন।
Leave a Reply