হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: অনিয়ম দুর্নীতির আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল। এখানে দালালদের দৌরাত্মে অসহায় চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগী এবং তাদের স্বজনরা। রোগীদের নিয়ে টানাহেঁচড়া আর হয়রানি যেন এখনকার নিত্যদিনের চিত্র। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সোমবার সকালে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় চারজনকে চিহ্নিত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন ডি.এম.এফ ইন্টার্নি ম্যাটস এর ছাত্র মোঃ আশিক (২২) ওষুধ কোম্পানির একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার দায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিত রোগীদের প্রেসক্রিপশন লেখার দায়ে নাইম হাসান নামে পি.ডি.টি ট্রেনিং এ থাকা অপর এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া রোগীদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে মোঃ বাপ্পি (৪০) ও হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পলি খাতুন ও হাবিবুর রহমান নামে তিনজনকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দালালরা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়ে যেত। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে দুইজনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল এলাকা দালালমুক্ত করতে এই ধরনের অভিযান চলামান থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply