মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন লালমনিরহাট: দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। জেলাজুড়ে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস যোগ হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা কমায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। ঘনকুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। সারাদিন সূর্যে দেখা মিলছে না। এর সঙ্গে যোগ হওয়ায় হিমবাতাস সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছরে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ জেলা হিমালয়ের অনেকটা কাছাকাছি হওয়ায় তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। গত চারদিন থেকে শুরু হচ্ছে হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। সকালে ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকা, ঘন কুয়াশা আর হিমবাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও গরিব মানুষের। বিভিন্ন এলাকায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন শীত থেকে। জিবনবাঁচার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন। তীব্র শীতের কারণে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সদর হাসপাতালসহ সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত সর্দ্দি-জ্বর, কাশি, নিউমেনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগে। সকল হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়। ফারুক (৪০) নামে এক রিকশাচালক বলেন, তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় অনেক কমে গেছে। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। হুমায়ুন (৪৫)নামে এক ভ্যানচালক বলেন, সবজির বাজার স্বস্তি থাকলেও চালের বাজার অনেক চউড়া থাকায় সংসার চলাতে কঠিন হচ্ছে। শীতের কারণে বাড়ি থেকে প্রয়োজন ছাড়া সকালে কেউ থেকে বের হচ্ছে না। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রংপুর অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া গত কয়েকদিনের তুলনায় তীব্র হয়েছে। শীতের তীব্রতা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে লালমনিরহাটেও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
Leave a Reply