ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ–খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে দৃর্বৃত্তদের তৎপরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৈদ্যুতিক তার, মোবাইল ফোন চুরি ও চাঁদাবজী চলমান। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে, কিছুতেই থামছে না এই চুরি। সেনহাটি এলাকা থেকে আল আমিন নামক এক যুবক গ্রেফতার হলেও সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্যরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের সিন্ডিকেট সদস্য শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিতের জন্য দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীনের নির্দেশনায় পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ও ফরমাইশখানা এলাকার প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদল দুর্বৃত্তায়ন সংঘটিত করেছে। এদের কর্মকান্ডের মাধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদ্যুতিক সার্ভিস তার কেটে নেওয়া, মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাই, বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূ ও মেয়েদের উত্তক্ত করা, চাঁদাবাজী করা প্রভৃতি অপরাধ সংঘটিত করা। সম্প্রতি দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বাগান থেকে বৈদ্যুতিক সার্ভিস তারের মধ্য থেকে তামার তার ছড়িয়ে নেওয়া বিপুল পরিমাণ ক্যাবলের কভার তার পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সেনহাটিতে চাঁদাবাজি করতে যাওয়া এক চাঁদাবাজকে জনতা ধরে পুলিশে দেওয়ার ঘটনা এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে। এ ঘটনায় পুলিশ সেনহাটি এলাকার সেলিম শেখের পুত্র জামাই আল আমিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এলাকায় তার চুরি অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের জোর অভিযান অব্যাহত আছে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তারেক বলেন, অপরাধীচক্রকে খুব তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পুলিশ অনেক কষ্ট করে অপরাধীদের পাকড়াও করে আদালতে প্রেরণ করে। আর অপরাধীরা আইনের ফাঁক ফোঁকরে বেরিয়ে এসে পুণরায় দ্বিগুন উৎসাহে অপরাধ সংঘটিত করে। এ ব্যাপারে সকলমহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্ত চক্রকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম শাহীন।
Leave a Reply