সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ টি এম সারোয়ার হোসেন খানের দীর্ঘ ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবন শেষে অবসর উপলক্ষে উক্ত বিদ্যালয়ে (২৭ নভেম্বর ) বুধবার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় উক্ত বিদায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মুজিবুর আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক মিলন খান। জানা যায় সহকারী প্রধান শিক্ষক এ টি এম সারোয়ার হোসেন খান ১৯৯৫ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন, তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর উক্ত বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক এ টি এম সারোয়ার হোসেন খানের শিক্ষকতাকালীন জীবনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্হানীয় বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্ঠায় ও সাহতা গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠনাটি ১৯৬৯ সালে জুনিয়র স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১লা জুলাই ১৯৭৩ সালে জুনিয়র স্কুল হিসেবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ১লা জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে হতে প্রতিষ্ঠানটি ৯ম শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি লাভের পর ১লা জানুয়ারি ২০০১ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে সরকারি বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তির অনুমোদন লাভ করে। আরো জানা যায় উক্ত বিদ্যালয়টির স্বীকৃতির মেয়াদকাল (৩১ ডিসেম্বর ২০১৪) পর্যন্ত বলৎ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় উক্ত বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সাহতা গ্রামের কৃতি সন্তান মৃত হাছান আলী খান, ও উক্ত বিদ্যালয়ের জমিদাতা হলেন সাহতা গ্রামের কৃতি সন্তান মৃত জগৎ চন্দ্র সাহা।
এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক এ টি এম সারোয়ার হোসেন খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক বিনয় চন্দ্র সরকার, সহকারী শিক্ষক দুলাল চন্দ্র পাল, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ রানা,রেভা রানী সরকার(খেলন), মর্জিনা বেগম,সহ বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শেখ মুজিবুর আহমেদ তার সমাপনী বক্তব্যে বিদায়ী সহকারি প্রধান শিক্ষক এ টি এম সারোয়ার হোসেন খানের উদ্দেশ্যে বলেন দীর্ঘ ৩০ বছর শিক্ষকতা করার পর বিধি মোতাবেক আপনি বিদ্যালয় থেকে অবসর নিলেও আমরা আপনাকে মন থেকে বিদায় দেয়নি। আপনি আছেন সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের হৃদয়ে। অবসরকালীন জীবনে যখন সময় পাবেন বিদ্যালয়ে আসবেন, বিদ্যালয়ের খোজ খবর রাখবেন এবং লেখাপড়ার মান উন্নয়নে পরামর্শ দিবেন। পরবর্তীতে সবার দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধান শিক্ষক।
Leave a Reply