আমিনুল ইসলাম নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)প্রতিনিধিঃ বান্দবান সড়ক বিভাগের আওতায় নাইক্ষ্যংছড়ির ১২ কিলোমিটার রামু নাইক্ষ্যংছড়ি অংশের বেহাল অবস্থা সড়কে টি সংস্কার ও সম্প্রসারণ জরুরী। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগ এর অধীনে এ সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রস্থ, এই সড়ক দিয়ে পূরবী বাস গাড়ী,বড় কাঠ বহনকারী ট্রাক এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সদস্যের খাদ্য,অস্ত্র,গোলা-বারুদ সহ তাদের অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নে ব্যবহৃত কার্ভানব্যানের প্রস্থ সাড়ে ৮ ফুট। অপরদিকে দূরপাল্লার মালবাহি গাড়ির চওড়াও সাড়ে ৮ ফুট। এমন দুইটি গাড়ি মুখোমুখি হলে যানজট ছুটে না দুই চার ঘন্টায়ও। এ সময় মানুষের পায়ে হাটাও মুশকিল হয়ে পড়ে। ট্রাক চালক নুরুল হাকিম, হারুনসহ অনেক জানান, ঝুকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর এ সড়কের দু’পাশে রয়েছে পাহাড়, সড়কটি সংষ্কার এর পাশাপাশি সংম্প্রসারণ করে প্রস্থ না করলে যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনা আশঙ্কা রয়েছে। এই সড়কে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বিপদ সংকেত দেখিয়ে ৫ টনের অধিক ভারী কোন যানবাহন এ সড়কে চলাচল করতে পারবে না বলে সাইনবোর্ড টাংগিয়ে দেন। এই সংকেত এখন কেউ মানছে না। প্রতিনিয়ত চলে ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ভারী যান বাহন। সচেতন মহল ও চালকরা পরিস্থিতির শিকার বলে দাবীও করেন। এ ছাড়াও এ সড়কের উপর অতি ঝুঁকিতে রয়েছে বেশকিছু বেইলী ব্রিজ ও কালভার্ট। এসব ব্রিজ, কালভার্ট গুলো সড়ক বিভাগ তড়িঘড়ি করে লোক দেখানো সংস্কার করায় এসব ব্রীজ-কালভার্ট সহনীয় হয় না। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন ও কচ্ছপিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল নোমান বলেন,সড়কটি দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১২ ফুট তাই সংস্কারের পাশাপাশি প্রস্থ সম্প্রসারণ করা জরুরী। তারা আরো বলেন স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও এটি সম্প্রসারণ করা ফাইল বন্দী হয়ে আছে। সড়কটির প্রস্থ ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘ দিনের। তাই দূর্ঘটনা এ সড়কের নিত্য সংঙ্গী। কারণ সড়কের যাতায়াতকারী, ৬ টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ মানুষ ছাড়াও রয়েছে রামু রাবার বাগানে মালামাল নেওয়া-আনার সমস্যা। সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত বিজিবি এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ সড়কের জারুলিয়াছড়ি ব্রীজ সহ ৫ টি বেইলী ব্রীজের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। উল্লেখ্য, এই সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া,গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর, দোছড়ি,বাইশারী ও সোনাইছড়িসহ ৭ ইউনিয়নের মানুষ। এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৩০ হাজারের বেশী। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা খাদ্য-শস্য ভান্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন সহ সীমান্তের ৭ টি ইউনিয়নের, উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানী-রপ্তানীতে ব্যাবহার হচ্ছে রামু – নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কটি। সচেতন মহলের মতে সড়কটি, সম্প্রসারণ খুবই দরকার। জনসাধারণের কষ্ট লাগবে দ্রুত সড়কটি প্রস্থসহ সংস্কার এখন গণমানুষের দাবীতে পরিণত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাহল আহমেদ নোবেল (এসি) বলেন বিজিবি জোয়ানরা বিভিন্ন অপারেশন তাদের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তাই তিনিও বিভিন্ন দপ্তরের সুপারিশ করার কথা বলেন। তিনি সড়কটির প্রস্ত ছোট হওয়ায় দুটি গাড়ি পরস্পরকে সাইড দিতেও অনেক সময় লাগে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্যে এসড়কের সম্প্রসারণ প্রয়োজন আছে। এলাকার সুশীল সমাজের দাবী, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কটির অবস্থা নাজুক তাই দ্রুত সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবী। বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রতিবেদক কে বলেন, রাস্তাটি বিশ্বব্যেংকের অর্থাযনে দ্রুততম সময়ে বড় করে নির্মন করা হবে।
Leave a Reply