নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের কুশিয়ারা এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। আর হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে অত্র এলাকায় দিনদিন মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ করে জানান, বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা গ্রামের জৈনক মৃত তাহেরের ছেলে আসাদুল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে মরন নাশক ট্যাবলেট ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। তিনি সময় বুঝে কৌশল পরিবর্তন করে মাদক বেচাকেনা করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে মাদক সেবীদের আনাগোনা শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলছে। এছাড়া সরকার পতন এর পর থেকে প্রশাসনের ঝামেলা না থাকায় তিনি মাদক সেবনকারীদের নিকট মোবাইল ফোনে অর্ডার নিয়ে মাদক বিক্রি করেন। তবে যে কেউ ফোন করে চাইলেই মাদক মিলবে না। মাদক পেতে হলে তার নিয়মিত একজন খরিদ্দারের সুপারিশ লাগবে। তার পরই গাঁজা,এমনকি ইয়াবার মতো মারাত্মক নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য মিলবে। তবে দূরত্বনুযায়ী মাদকসেবী ক্রেতাকে বাড়তি টাকা দিতে হবে। এলাকাবাসীর অভিযোগ মাদক ব্যবসার কারণে আমাদের ছেলে মেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ওই মাদক ব্যবসায়ীর সাথে আরো দুইজন সহযোগী ছিল তারা মাদক ব্যবসা ছেরে দিলে ও কিছু বললে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি প্রদান করে থাকে তাই আমরা এলাকাবাসী তাদের ভয়ে দিন পার করে থাকি। ফলে তিনি লাভবান হলেও হাতের নিকট সহজে মাদক পেয়ে অত্র এলাকার শ’ত শ’ত উঠতি বয়সী যুবক মাদকের নেশায় আশক্ত হয়ে মাদক সেবন করছে। প্রথমে বিভিন্ন আজুহাতে পরিবার থেকে নেশার টাকা নিলেও পরে নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে অত্র কুশিয়ারা এলাকায় ছিচকে চোর বৃদ্ধি পেয়েছে।প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও দিব্বি চালাচ্ছে রমরমা মাদক ব্যবসা। মাদকের গডফাদার হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এবিষয় বন্দর ইউনিয়ন এর ৮ ওয়ার্ড মেম্বার বলেন মাদক ব্যবসার সাথে আসাদুল্লাহ ছাড়াও আরো অনেকে জড়িত আছে। আসাদুল্লাহরনামে বন্দর একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়ে স্থানীয় বাসীন্দারা একাধিকবার নিষেধ করলেও তাদের উপর চড়াও হয়ে ভয় ভিতী দেখিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায় আমাদের ছেলে মেয়ের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষের কাছে আমাদের মুখ দেখাতে পারি না। মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করলে উল্টো আমাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে মার মূখী আচারন করে।এবিষয়ে জানার জন্য মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি আসাদুল্লাহ। পরে মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির দিকে প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
Leave a Reply