মিঠাপুকুর প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণের পরেও মামলা নেয়নি মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক। উল্টো ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওকালতি করতে দেখা গিয়েছে ওসিকে। এমনকি ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী এবং তার পরিবারকে ওসি বলেছেন, আঠারো বছরের পূর্বে যেটা হয় সেটা ধর্ষণ নয়, প্রয়োজনে আরো দু-বছর ধর্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখে বিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ওসির অপেশাদারিত্ব কথাবার্তার এমন একটি অডিও হাস্যরসে পরিনত হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর অভিযোগ, মিঠাপুকুর উপজেলার ১৪ নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের চিথলী মধ্যপাড়া গ্রামের শ্রী-অভিনাশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে জয় চন্দ্র বর্মণ (২৪) ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভণে দীর্ঘদিন থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারিরীক মেলামেশায় বাধ্য করে আসছিলেন। ঘটনার দিন গত- ৬ নভেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার টার দিকে ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত জয় চন্দ্র বর্মণ জনৈক অমূল্য চন্দ্রের সুপারি বাগানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ধর্ষক জয় চন্দ্র বর্মণ পালিয়ে যায়। পরে শতাধিক গ্রামবাসী ওই ছাত্রীকে নিয়ে অভিনাশ চন্দ্র বর্মণের কাছে তার ছেলের বিচার দাবি করে। অভিনাশ চন্দ্র বর্মণ ছেলেকে বাঁচাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারকে স্থানীয়দের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিমাংসার প্রস্তাব করলে ওই ছাত্রী তা মেনে না নিয়ে গত- ১১ নভেম্বর সোমবার বিয়ের দাবিতে অভিনাশ চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে গিয়ে উঠে। পরে অভিনাশ চন্দ্র বর্মণ মিঠাপুকুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মানসিক বিপর্যস্ত ভিকটিমকে কোনো আইনি সহযোগিতা না করে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, সূর্যের পরিবারের অবস্থা ভালো। তাদের এক আত্মীয় ইউএনও হওয়ায় তিনি সরাসরি মিঠাপুকুর প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। মঙ্গলবার (১২-নভেম্বর) সন্ধায় ওই নাবালিকার পিতা শতাধিক গ্রামবাসী সহ রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে, নাবালিকার বাবাকে ওসি মামলা না করার পরামর্শে দিয়ে অপেশাদারিত্ব আচরণ করেন। এমনকি ওসি সরাসরি ধর্ষকের পক্ষ নেন। পরে জোরাজোরি করে নাবালিকার পিতা একটি এজাহার দায়ের করলেও ওসি ভিকটিম এবং তার পরিবারকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের ঘটনা ঘটার দিনেই আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওসি সময় কালক্ষেপন করে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি একজন কাঠমিস্ত্রী লেবার। আমার নাবালক মেয়েটাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু ওসি মামলা না নিয়ে বিভিন্ন সব আজেবাজে কথা বলছে। আমার মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মামলা নেবোনা তা বলি নাই বলে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত জয় চন্দ্র বর্মণ এবং তার পিতা অভিনাশ চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্
Leave a Reply