![](https://pressbd.online/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা মেঘনা নদীর তীরে গড়ে ওঠা থি-এঙ্গেল মেরিন লিমিটেড নামে একটি শিপ ইয়ার্ডে কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন শ্রমিকরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গজারিয়া উপজেলা নয়ানগর এলাকায় থ্রি-অ্যাঙ্গেল মেরিন লিমিটেড শিপ ইয়ার্ডে চলছে জাহাজ তৈরির কাজ। পাশাপাশি পুরোনো জাহাজ মেরামতের কাজও হচ্ছে। শ্রমিকরা সেখানে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন। তবে কারোই কোনো ধরনের সেফটিগার্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, হেলমেট, বিশেষ পোশাক, জুতা বা নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি নেই। বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণ শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন। ভারী এসব কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে জখম হয়। পাশাপাশি তারা বেতন ভাতাও যথা সময়ে পায় না বলে অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিপইয়ার্ডে কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, জীবনের তাগিদে আমরা জাহাজ নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আমরা পরিশ্রম করলেও প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসে পাই না। ওই শিপইয়ার্ডের আরেক শ্রমিক জানান, আমরা সারাদিন ঝালাইয়ের কাজ করি। এই কাজ করতে গিয়ে আগুনের ছোটো ছোটো ফুলকি গায়ের মধ্যেই এবংহাতে পড়ে ফোসকা পড়ে যায়। গ্লাভস, হেলমেট এবং বুটজুতা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিচ্ছে না। তার মতে, সরকারি লোকজন এসে যদি এই বিষয় গুলো দেখতেন তাহলে ঠিকই এসব প্রয়োজনীয় জিনিস তাদের দিতেন। তখন আর তাদের কোনো সমস্যা হতো না। শিপইয়ার্ডে ডিরেক্টর (লজিস্টিক) পদে কর্মরত এম.এ. রহমান আনসার মুঠো ফোনে বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ সত্যি নয়। তাদের প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসেই দেওয়া হয় বলে ফোন কেটে দেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা লোকমান হোসেন মুঠো ফোনে বলেন, গত ৩০ নভেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় শিপইয়ার্ড পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পরে আমরা শিপইয়ার্ডে কর্মরত শ্রমিকদের তালিকা করি। যাদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম নেই। নিরাপত্তা সরঞ্জাম অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন তো সময় লাগবেই। কলকারখানা অধিদপ্তরের পরিদর্শক শেখ মাহামুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করব এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Leave a Reply