নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। সরই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মো. ফিরোজ (৪৫) এই চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানা গেছে। লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে লাগিয়ে দেওয়া তালা গত ৪৩ দিনেও খুলেনি। এই তালা খুলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের ম্যানেজ করতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিসের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার এমন একটি অডিও রেকর্ডটি এখন অনলাইনে ভাইরাল। অভিযোগ রয়েছে, সরই ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং চলাকালে গত ১৯ ডিসেম্বর সরই ইউনিয়ন বিএনপির (একাংশ) সভাপতি ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হালিম স্থানীয় বিএনপির সদস্য নাছির উদ্দিন, নুরুল আবছার সহ ২০/২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগানোর কিছুদিন পর বিএনপির এ সকল নেতাকর্মীরা স্থানীয় জনগণের ব্যানারে চেয়ারম্যান ইদ্রিস কোম্পানির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগানোর পর থেকে স্থানীয় সেবা প্রার্থী জনসাধারণ চরম দূর্ভোগে পরেন। চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার তালিকায় অন্তভূক্তি হতে ইচ্ছুক জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে চরম ভোগান্তির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। পরিষদ কার্যালয় হইতে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে চেয়ারম্যানের নিজ ব্যক্তিগত অফিসে বসে কাগজ পত্র স্বাক্ষর করছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, সরই এলাকার বিএনপির সদস্য এবং আব্দুল হালিম মেম্বারের একান্ত আস্থাভাজন টঙ্গঝিরি এলাকার মৃত আনছার আলীর ছেলে ফিরোজ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। বিএনপি সদস্য ফিরোজ চাঁদা দাবিকালীন সময়ে বলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে লাগানো তালা খুলতে হবে। এদের ম্যানেজ করা ছাড়া তালা খোলা যাবে না। ফিরোজ আরও জানান, গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে একটি সমস্যা নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে এই বিষয়ে তার কথোপকথন হয়। তবে বিষয়টি যে এত বড় হবে তার জানা ছিল না। চাঁদা দাবির অডিও এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ:দা:) রুপায়ন দেব জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবির একটি অডিও তার হস্তগত হয়েছে। তিনি জানান- বিষয়টি জেলা প্রশাসক বান্দরবানকে জানানো হয়েছে। চাঁদা দাবির বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply