ওয়াহিদ মুরাদ, খুলনা ব্যুরো চীফ–খুলনার দিঘলিয়ায় ‘ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের’ আওতায় ৩ দিনব্যাপী (২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত) ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা চত্বর থেকে বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম মিয়ার সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৯টি স্টলে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, বিআরডিবি কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, তথ্য বিষয়ক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ কিশোর আহমেদ। ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, কৃষি স্মার্ট হলে বাংলাদেশও স্মার্ট হবে। আমাদের অর্থনীতির সফলতাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি সংযুক্ত করতে হবে। কৃষক ও দেশ উভয়কে সমৃদ্ধ করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে সেই জায়গাতে আমাদের প্রতিনিয়ত খাপ খাইয়ে চলতে হবে। যদি আমরা খাপ খাওয়াতে না পারি তাহলে কৃষিকে এগিয়ে নিতে পারবো না এবং দেশও পিছিয়ে পড়বে। দেশের অর্ধেক মানুষ এখনো কৃষি কাজের সাথে জড়িত। অনেক সময় হঠাৎ বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমরা কৃষককে স্মার্ট করতে চাই। কৃষক যাতে অল্প খরচে অধিক লাভবান হয়, অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারে সেজন্য কাজ করা প্রয়োজন। দেশের পানি, মাটি, বাতাস বড় সম্পদ। এদেশের মাটিতে বীজ বপন করলেই ফসল হয়। আমরা যদি পরিবেশ এবং মাটিকে সংরক্ষণ করতে পারি তাহলে আমাদের পরিবেশ ভালো থাকবে, আমাদের কৃষি এগিয়ে যাবে এবং আমরাও এগিয়ে যাবো। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এরই মধ্যে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।’ দিঘলিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলায় প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতি অবলম্বন করে কীভাবে আরও উন্নত ও সহজভাবে ফল-ফসল আবাদ করা যায়, সে সম্পর্কে কৃষককে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন। মেলায় ৯টি স্টলে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের কৃষিপ্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে।
Leave a Reply