ঈদগাঁও প্রতিনিধি: কক্সবাজার ‘ঈদগাঁও’ হলো দেশের ৮৯৫তম উপজেলা। ২০২৩ সালের ৫ জুন উপজেলার কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের ১৫টি দপ্তরের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। কিছু কার্যক্রম চালু করা হয়েছে ভিন্ন উপজেলায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সেবা দিচ্ছেন। এতে ভোগান্তি আরো বেড়েছে। জনবল সংকটে শুরু করতে না পারা এসব দপ্তরের কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। উপজেলা প্রশাসন-সংশ্লিষ্টদের মতে, অল্পসংখ্যক দপ্তর ও জনবল নিয়ে ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ভাড়া করা একটি ভবনে। শুরু হওয়া প্রশাসনের ২৪টি দপ্তরের মধ্যে মাত্র ৯টির কার্যক্রম চালু থাকলেও সেসব দপ্তরেও পর্যাপ্ত জনবল নেই। তার মধ্যে দুটি দপ্তরের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে ভিন্ন উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে। চালু না হওয়া দপ্তরগুলো হলো- ভূমি অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, শিক্ষা অফিস, প্রকৌশল অফিস, আনসার ও ভিডিপি অফিস, খাদ্য অফিস, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস (হাসপাতালসহ), কৃষি অফিস, প্রাণিসম্পদ অফিস, মৎস্য অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মহিলাবিষয়ক অফিস, পল্লী উন্নয়ন অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস। সেবাপ্রার্থীরা বলছেন, এসব দপ্তরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে না পারায় আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই বেশি খরচ হচ্ছে। স্থায়ী উপজেলা কমপ্লেক্স না হওয়া পর্যন্ত ভাড়া ভবনে হলেও গুরুত্বপূর্ণ ওইসব দপ্তরের কার্যক্রম চালু করা দরকার। এতে জনভোগান্তি কিছুটা হলেও কমে আসবে। এ বিষয়ে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতে, নবগঠিত এ উপজেলা পরিষদের জন্য অনুমোদিত দপ্তরগুলোর মধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব দপ্তর এখনো পূর্ণাঙ্গরূপে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। প্রশাসনের সব দপ্তর চালু না হওয়ায় জনসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যাচ্ছে না।
Leave a Reply