মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন লালমনিরহাট: ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদের আর কয়একদিন রয়েছে বাকি। এই ঈদকেই সামনে রেখে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার হাটবাজারের ও ছোট বড় মার্কেটগুলোতে নতুন পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের বাসিন্দারা। শুরু হয়েছে ঈদের আমেজ। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ভিড়, কেনাকাটার ব্যস্ততা। অভিজাত বিপণি বিতান, শপিং মল, মার্কেট, ছোট-বড় ব্র্যান্ডের শোরুম এমনকি ফুটপাতেও ধুম পড়েছে কেনাকাটার। সরেজমিনে দেখাগেছে, জেলার কালীগঞ্জ, তুষভান্ডার, কাকিনা, ভোটমারী, ভুল্লারহাট, চাপারহাট, শিয়ালখোয়ার বেশ কয়েকটি হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে সারাদিন টুকটাক ভিড় থাকলে বিকালের দিকে একটু বেশি ভিড় দেখাযায় তবে সন্ধ্যার পরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি হয়। এবং লালমনিরহাট সদরের বিভিন্ন মার্কেট এবং শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ব্যস্ততা। নানান ধরনের অফার এবং ঈদ স্পেশাল পোশাক বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়িরা জানায়, কেনাকাটা শুরু হয়েছে ১৫ রোজার পর থেকে। এবার ভারতীয় কাপড়গুলোতে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে দেশীয় সুতি কাপড়। গরমের কারণে দেশি সুতি থ্রি পিসগুলো সবার পছন্দ ও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। সমানতালে বিক্রি হচ্ছে ইন্ডিয়ান গাউন ও কাজ করা লং ফ্রোক। এছাড়া শিশুদের হরেক রকম পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশী। তবে শিশুদের পোশাকের দাম অপেক্ষাকৃত বেশী। এছাড়াও জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের পাশাপাশি কালার শার্ট ফুলশার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। টপ, স্কার্ট, ফ্রকও রয়েছে ছোটদের পছন্দের তালিকা। হরেক রকমের বর্ণালী পাঞ্জাবির চাহিদাই এবার সর্বাধিক। জুতার দোকানগুলোতে ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। একইসাথে কসমেটিকস, ঘর সাজানোর সামগ্রী এবং গহনার দোকানগুলোতেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠতে শুরু করেছে বাজার। মার্কেটে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা জুয়েল বলেন, এবার সব ধরনের পোশাকের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, গতবার যে পাঞ্জাবি দুই হাজার টাকায় কিনেছি, সেই ধরনের পাঞ্জাবি এবার তিন থেকে সারেতিন হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। আরেক ক্রেতা মরিয়ম বেগম বলেন, বাচ্চার স্কুল বন্ধ সেজন্য গ্রামের বাড়িতে চলে যাব। তাই প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করছি। ব্যবসায়ীরা দাম অনেকটা বেশিই চাচ্ছেন। হাট বাজারগুলোতে রাস্তার পাশের ফুটপাতের দোকানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ কেনাকাটা করছে। তবে তারাও বলছে গতবারের চেয়ে এবারে দাম অনেক বেশি। লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী বলেন, কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে অপরাধের পরিমাণ নগণ্য। তারপরও কেনাকাটা করতে আসা মানুষজনের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সতর্ক রয়েছি। পুরো এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে । একইসাথে মোবাইল-টাকা চুরিসহ ছোটখাটো অপরাধ ঠেকাতে সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
Leave a Reply