এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও: চৌফলদন্ডীর শুটকি পল্লীতে ব্যস্ততার ধুম পড়ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে আহরণ করা বিশেষ জাতের ছোট আকৃতির মাছগুলো দিয়ে শুটকি তৈরি করা হয়। মৌসুমের শেষ মুহুর্তে চলছে শুটকি উৎপাদন। সুস্বাদু মাছের চাহিদা ও কদর বাড়ছে দিনদিন। কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী সেতু পয়েন্টে সাগর থেকে আনা প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সূর্যের তাপে শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুটকি। দীর্ঘকাল পূর্বে খাল তীরবর্তী গড়ে উঠা শুটকি পল্লীতে কাজে নিয়োজিত নারী-পুরুষ শ্রমিক। জানা যায়, প্রতিবছর ৭/৮ মাস শুটকি উৎপাদনের মৌসুম থাকে। এ সময় ব্যবসায়ীরা সাগর থেকে নানা জাতের মাছ কিনে এনে তাদের খামারে মাছ পৃথককরণ শেষে তপ্ত রোদে শুকান। অনেকে কিছু কিছু শুকিয়ে তাদের গোদাম ঘরে যত্নসহকারে রেখেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিশেষ উপায়ে তৈরি বাঁশের মাচার উপর কাঁচা মাছ সূর্যের তাপে ৩/৪ দিন শুকিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি। সারি সারি মাছ শুকানোর দৃশ্য দেখতে চমৎকার বটে। এরপর উৎপাদিত শুটকিগুলো বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে (মাচা পদ্বতি) প্রদশনীর ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান এক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা বলেন, মৌসুমে উৎপাদিত শুটকি স্থানীয় পযার্য়ে চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রামে পাঠান। ছোট বড়, মান আর গুনে একের মাছের দাম একেক রকম। এমনকি বাজারের খুচরা ও পাইকারী শুটকি বিক্রেতারা সুস্বাদু শুটকি কিনে নিয়ে বিক্রি করেন। শ্রমিকরা জানান, শুটকি মহালটির উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করলে এই খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়তো।ব্যবসায়ী মুরব্বি মীর আহমদ জানান, শুটকি উৎপাদন মৌসুমের শেষ মুহুর্তে মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত নারী-পুরুষরা। পরিপূর্ণ শুকানো শেষে বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত মাছ নিয়ে যাওয়া হয়। মির্জা রফিক নামে এক বোটের শেয়ার ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে ঈদগাঁওয়ে বিক্রয়কৃত শুটকি মাছে ফরমালিনে চেয়ে গেছে। বিশেষ করে এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে বোটের টাটকা ফ্রেশ মাছ দিয়ে শুকনো মাছগুলো প্রাকৃতিক ভাবে প্রক্রিয়াজাত করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সাফলাই করে থাকি। শুটকি মাছে কোন প্রকার লবন নেই।
Leave a Reply