মোহাম্মদ আবুবক্কর ছিদ্দিক স্টাফ রিপোর্টার মহেশখালী উপজেলা: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন উত্তর নলবিলা দরগাহ্ ঘোনার বাসিন্দা তাহেরা বেগম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই নারী বর্তমানে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাহেরার পা কেটে ফেলতে হতে পারে। এতে মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অন্তত দেড় লাখ টাকা, যা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তাহেরার পরিবার। তাহেরা বেগম পেশায় একজন গৃহকর্মী। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে শুরু হয় তার একাকী সংগ্রাম। নিজের ঘর ছিল না, ছিল না নির্ভরতা—থাকতে হতো অন্যের বাড়িতে, আর পেট চালাতে হতো অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করে। সামান্য উপার্জনে কোনোমতে চলছিল তাদের নিঃস্ব জীবন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সেই আশ্রয়টুকুও যেন হারাতে বসেছেন তাহেরা। গত ৯ এপ্রিল (বুধবার) পারিবারিক কাজে চাচার বাড়ি যাওয়ার সময় শাপলাপুর সড়কের ষাইটমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে তাহেরা বেগম যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইকে ছিলেন। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি দ্রুতগামী ইজিবাইক (টমটম) ওই যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে তাহেরাসহ মোট পাঁচজন যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং তাহেরার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতের আত্মীয় সাজ্জাদ মোহাম্মদ সাগর জানান, “ডাক্তার বলেছেন অন্তত দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। আমরা তো গরিব মানুষ, এত টাকা জোগাড় করবো কীভাবে?” তিনি আরো জানান, তাহেরার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে এবং সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনিই। এই অবস্থায় তাহেরাকে বাঁচাতে সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষদের সহযোগিতা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তাহেরার পরিবার জানিয়েছে, অসচ্ছল এই পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তাহেরা নিজেই। এখন তিনিও অচল হয়ে পড়লে দুই শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় সমাজের দানশীল ও সহৃদয় মানুষদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। তাহেরার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা সাহায্য করতে চান তারা তাহেরার বোন জামাই হারুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁর মোবাইল নম্বর: ০১৮১৬০০৬৭৪৩। জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা এক মায়ের জন্য সামান্য সহায়তাও হতে পারে নতুন জীবনের সোপান।
Leave a Reply