স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালী: বর্তমান সময়ে পুরুষদেরকে আকৃষ্ট করে বিয়ের নাটকীয় ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব ও সর্বশান্ত করা এক অভিনব কৌশল ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই কৌশল অবলম্বন করেই বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের মামলায় ফেলে হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলার সাভারের বহুলালোচিত নারী মোসা. সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে। তার ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। তার প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাকে গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন তার এক স্বামী মো. নাজিউর রহমান খোকন। নাজিউর রহমান খোকন বলেন, আমার স্ত্রী সালমা বেগম হচ্ছেন মুজাফ্ফার আলীর মেয়ে সাং- গোছখালী, বাইনবুনিয়া আমতলীর মেয়ে। তিনি আমার আগে ২০১১ সালে মোঃ ইউসুফ নামে এক ছেলের সাথে শরীয়াতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাহার কাবিন কম থাকায় আবার ইউসুফের সাথে কাবিন করেন সালমা আক্তার। পরে ইউসুফকে তালাক দিয়ে ২০২৩ সালে আমি নাজিউর রহমান খোকন আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। আমার বিবাহর পর থেকে আমি আমার স্ত্রীর সকল প্রকার ভার বহন করি। আমতলীতে বাসা ভাড়া করে দেই। তার নামে ছয় লক্ষ টাকা ব্যায় করে জমি করে দেই। আমতলী সোহেল মিয়ার বাড়ী ভাড়া করে দেই। সকল প্রকার আসবাবপত্র কিনে দেই। প্রতি মাসে তাকে বাজার পাঠাই। আমার মায়ের সাথে থাকতে বলায় আমার স্ত্রী আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে এনামে বেনামে আমতলী থানা এবং বরগুনাকোর্টে একাধিক মামলা করেন। এই বিষয় নিয়ে গুইলশাখালী গ্রামে একাধিকবার বসাবসি হলেও কোন সুরহায় যেতে পারেনি আমার স্ত্রী সালমা বেগম। সালমা বেগমমের আগের স্বামী ইউসুফ মুন্সীর নামে সালমা বেগম আমতলী কোর্টে মামলা করেন। যার মামলা নম্বর-৫৬/২০২২। আমি আমার স্ত্রী সালমা বেগমকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরে বাজারের টাকা চায়। আমি টাকা দিয়ে দিলে পরবর্তীতে ফোন দিলে তার ফোন ব্যাস্ত পাওয়া যায়। তিনি আমার নামে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা মামলা করবে বলে আমাকে ভয় দেখায়। আমি তার অনেক সাহসের প্রশংসা করি। তার এত শক্তির উৎস কোথায়, কে তাকে বুদ্ধি দেয় আমি প্রসাশনের কাছে একাধিক বিচার চাই। এ বিষয়ে আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা নাহিদা বেগম বলেন, কয়েক মাস আগে আমাদের এখানে সালমা বেগম এবং নাজিউর রহমান খোকন স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। পরে জানতে পারি সালমা বেগমের একাধিক স্বামী রয়েছে। তার মূল টার্গেট সম্পদশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষ। প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে তিনি ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য, বিয়ের নাটক ও কথা মালার মারপ্যাঁচে আটকে ফেলেন টার্গেটকৃত পুরুষদের। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করাই তার পেশা। এ বিষয়ে সালমা বেগমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আমতলী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীবাড়ি মসজিদের সামনে বাসা মালিক সোহেল মিয়া বলেন, আমার কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে সালমা বেগম ও নাজিউর রহমান খোকন এখন পর্যন্ত থাকেন। তিনি আরও বলেন, আমি বাসা ভাড়া দিয়েছি নাজিউর রহমান খোকন এর কাছে। সে তার স্ত্রী সালমাকে নিয়ে থাকে এবং প্রতি মাসের ভাড়া নাজিউর রহমান খোকন দিতেছেন। গুইসাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনির বলেন, আসলেই সালমা বেগম লোভী প্রকৃতির মানুষ। একাধিক বিয়ে করেছে। তার কাজই হচ্ছে বিয়ে করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয় নিয়ে সালমা বেগম একটি অভিযোগ করেছেন।
t3ffm2