নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার পূর্ব পারের মানুষের শহরে পবেশ পথের এক মাত্র মাধ্যম নদী পথে, খেয়া ঘাট গুলো বন্দর উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ জীবিকার জন্য নদীর পশ্চিম পাড়ে আসতে হয় প্রতিনিয়ত নদী পাড় হয়ে।কাজের জন্য, অফিস,আদালত গার্মেন্টস সহ নদীর পশ্চিম পাড়ে হওয়ার কারনে পূর্ব পাড়ের মানুষদের যাতায়াত করতে হয় নদী পার হয়ে।এমন কি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য তোলারাম সরকারি কলেজ ও সরকারি মহিলা কেলেজ নারায়ণগঞ্জ কলেজ, কোর্ট, ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল, ব্যাংক সব কিছুর জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরে নদীর পূর্ব পাড়ের মানুষদের আসতে হয় নদী পাড় হয়ে। নদীর পূর্ব পারের মানুষ নদী পারাপারের সময় নানা ভোগান্তি যেন শেষ নেই। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মদনগঞ্জ কলাঘাট থেকে ২ নং ঢাকেশ্বরী খেয়া ঘাট গুলো দিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপার হয় কয়েক লক্ষ সাধারণ কর্মজীবি মানুষ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী। তার মাঝে ভোগান্তি পুহাতে হয় সব সময় নদী পারাপারের যাত্রীদের।২ নং ঢাকেশ্বরী খেয়া ঘাট ইজারাদার বাপ্পি প্রধান ২ নাম্বার ঘুদারাঘাট টু লক্ষনখোলা সেই ঘাটে জন প্রতি ২ টাকা করে আদায় করা হয় এবং ইজারাদারদের পক্ষ থেকে যাত্রী পারাপারের জন্য দেয়া হয় একটি ট্রলার।অপর খেয়া ঘাট টি চিত্তরঞ্জন টু সোবাড়িয়াবাজার সেই ঘাটের ইজারাদার মনির হোসেন জন প্রতি ২ টাকা টোল আদায় করা হয়।ইজারাদার এর পক্ষ থেকে সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত একটি ট্রলার যাত্রীদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য দেয়া হয়।তার পাশে লক্ষীনারায়ণ বর্নালি খেয়া ঘাট টু চৌরাপাড়া এসি আই ঘাটে জনগণের কাছ থেকে কোন টোল নেয়া হয় না ইজারাদার মনির হোসেন গণমাধ্যম কে জানান নৌকা দিয়ে এখানে যাত্রী পারাপার করা হয় জন প্রতি নৌকা ভাড়া মাঝিরা ৫ টাকা করে নিয়ে থাকে আমি নৌকা প্রতি সারাদিনে ১৪০ টাকা জমা নিয়ে থাকি। নবীগঞ্জ সেন্টাল ফেরি ঘাটে ইজারাদার জন প্রতি ২ টাকা টোল আদায় করা হয় সার্ভিসের জন্য ৩ টি ট্রলার দেওয়া হইছে সেখানে কোন ভাড়া রাখা হয় না।বরফ কল খেয়া ঘাট ও স্বাভাবিক ভাবে চলছে ইজারাদারদের যাত্রীদের সার্ভিস। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ ৫ নং খেয়া ঘাটে গেলে ইজারাদার শিবলু বাবু টোলের জন্য জনপ্রতি ২ টাকা আদায় করে আর যাত্রীদের সার্ভিসের জন্য ইজারাদারদের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি ট্রলার সেখানে ও জন প্রতি পারাপারের জন্য ২ টাকা করে আদায় করছে নিজেদের ইচ্ছে মতো দেখার যেন কেউ নাই? নদী পার হওয়া এক যাত্রীর সাথে কথা বলে জানাযায় যে আমাদের ভুগান্তির দিন শেষ হবে কবে ট্রলারে ও ভাড়া দিবো উপরে ইজরাদের টোল হিসেবে ও ভাড়া দিতে হয়।ভয়ে কেউ প্রতিবাদ ও করে না প্রতিবাদ করতে গেলে নানা ভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়। তিনি আরো বলেন আমাদের দৈনিক যাতায়াতের জন্য একমাত্র মাধ্যম এই ৫ নং খেয়া ঘাট কিন্তু অনিয়ম আর দূর্নীতি যেন শেষ নেই আমরা পার হবো তাই প্রতিবাদ করি না কারন সকাল হলে আমাদের জীবিকার জন্য শহরে যেতে হয়।তাই আপনারা যদি পারেন এটার ব্যবস্থা নেন এই খেয়া ঘাটিতে মানুষের ভোগান্তি শেষ নেই।এই ব্যাপারে ইজারাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ঘাটে আমার লোকসান হচ্ছে তাই আমি প্রবেশ পথে টোল বাবদ ২ টাকা করে আদায় করছি এবং আমাদের পক্ষ থেকে একটি ট্রলার সার্ভিস দিচ্ছি লোকসান কমাতে ট্রলার থেকে ২ টাকা করে আদায় করতেছি। নারায়ণগঞ্জ বি আই ডব্লিউ টিএ পোর্ট অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার এই বিষয়ে জানা ছিলো না আমি জানতে পেরেছি যদি কোন অভিযোগ সত্যতার প্রমান পাই আমি ইজারাদার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।বন্দর সেন্টাল খেয়া ঘাটে জন প্রতি ২ টাকা টোল নেয়া হয় ইজারাদারের পক্ষ থেকে যাত্রীদের জন্য সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত ৬ টি ট্রলার সার্ভিসর জন্য দেওয়া হয়েছে।বন্দর স্কুল ঘাটে জন প্রতি ইজারাদার ২ টাকা টোল আদায় করে এবং ইজারাদারের পক্ষ থেকে ২ টি ট্রলার যাত্রীদের সার্ভিস দিয়ে থাকে। একমাত্র সাধারণ মানুষ এর অভিযোগ সব ঘাটের সার্ভিসের জন্য ইজারাদারা ট্রলার দিয়েছে টোল দিবে ফ্রি ট্রলার দিয়ে নদীর পারাপার হবে।কিন্তু আমাদের ৫ নং খেয়া ঘাট সেটা জন প্রতি টোল নিবে সাথে সার্ভিস দেবার কথা থাকলে ও ইজারাদারের ট্রলারে এখানে ভিন্ন চিত্র ট্রলারে ও টাকা দিতে হয় এটার ব্যবস্থা আদো হবে কি না জানতে চায় সাধারণ মানুষ।অনেক আশ্বাস দেবার পর ও নেই কোন ব্যবস্থা ৫ নং খেয়া ঘাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে। তা হলে কি সকল কিছু ম্যানেজ করে এই অনিয়ম গুলো করছে প্রতিনিয়ত ইজারাদার। জানতে চায় সাধারণ মানুষ ও ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্বোতম কর্মকর্তের দৃষ্টি কামনা করছেন ৫ নং খেয়া ঘাটে পারাপার হওয়া ভুগান্তি যাত্রীদের দাবী।
Leave a Reply