মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন লালমনিরহাট: দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। জেলাজুড়ে কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস যোগ হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা কমায় বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সন্ধা থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। সারাদিন সূর্যে দেখা মিলছে অনেকটা কম। এর সঙ্গে যোগ হওয়ায় হিমবাতাস সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছরে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ জেলা হিমালয়ের অনেকটা কাছাকাছি হওয়ায় তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হচ্ছে হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। সকালে ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকা, ঘন কুয়াশা আর হিমবাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও গরিব মানুষের। বিভিন্ন এলাকায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন শীত থেকে। জিবনবাঁচার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন। রফিকুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় অনেক কমে গেছে। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। হারুন নামে এক ভ্যানচালক বলেন, নিত্যপণ্যের দাম উর্ধ্বগতিতে সংসার চলাতে কঠিন হচ্ছে। শীতের কারণে বাড়ি থেকে প্রয়োজন ছাড়া সকালে কেউ থেকে বের হচ্ছে না।রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে বেশি শীত অনুভূত হয় বাংলাদেশে। ডিসেম্বরের শেষে শীত আরও বাড়তে পারে। যত দিন গড়াবে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমবে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে শীত বেশি হতে পারে।
Leave a Reply