1. admin@pressbd.online : admin :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বন্দরে ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে তারেক রহমানের নির্দেশনায় মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত  মাটিরাঙ্গা মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষ্যে খেলাধুলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন সেনহাটী ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড বি এন পি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রূপগঞ্জে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর গণসংযোগ ॥ লিফলেট বিতরণ হিলি দিয়ে ২.৬৭ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি শেষে বন্ধ হচ্ছে দ্বিতীয় দফা চাল আমদানি  মাটিরাঙ্গায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার পুরস্কার বিতরন ইসলামাবাদে ভূয়া পিতা সাজিয়ে রোহিঙ্গা জন্ম নিবন্ধন  রূপগঞ্জে বিষ্ফোরক মামলায় কামরুজ্জামান হিরার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর চেয়ে আবেদন, শুনানি ২০এপ্রিল বিয়ের ফাঁদে ফেলে একাধিক পুরুষকে নিঃস্ব করেছেন সালমা সুন্দরবনের উপকূলের মোরেলগঞ্জে হয়রানীর প্রতিবাদে শতাধিক ঘের ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

পটিয়ার হাইদগাঁওয়ে ইউনুচকে হত্যা  চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে   হয়রানির বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০৯ বার পাঠ করা হয়েছে

পটিয়া( চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাঙ্গারপুল এলাকায় মোহাম্মদ ইউনুস কে হত্যার চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আসমা আকতার । ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়ার একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সন্মেলন এ অভিযোগ তুলেন ইউনুসের স্ত্রী আসমা আক্তার। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন গত ২১ ডিসেম্বর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৬ নংওয়ার্ডস্থ ভাঙাপুল এলাকায় একটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত শামসুল আলম ৩০ ডিসেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মোহাম্মদ ইউনুচ ও ১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়া শিশুসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে যাদের সাথে সামশুল আলমের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে সেসব পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। সামশুল আলমের পরিবারের পক্ষে দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে থাকা আমার স্বামী মোহাম্মদ ইউনুচের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সামশুল আলম গংয়ের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিলো। ওই বিরোধ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা গত কয়েক মাস আগেই উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে দেন। এরপরও সামশুল আলম নানাভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকী দদিয়ে আসছিলেন। গত কয়েক বছর আগেও তিনি আমার স্বামীর পরিবারের বেশকিছু জমি জোর পূর্বক জবর দখল করে দেয়াল তৈরি করেছিলেন। গত ১৪ ডিসেম্বর সামশুল আলম পটিয়া থানায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে পটিয়া থানা পুলিশ দুইবার থানায় উভয় পক্ষকে ডাকলেও সামশুল আলম সেখানে হাজির হননি । পরবর্তীতে ২১ ডিসেম্বর বিকালে তিনি কয়েকটি সিএনজি ও মোটর সাইকেলযোগে ভাঙাপুল এলকায় কতেক সন্ত্রাসীসহ গিয়ে আমার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমার স্বামীর উপর হামলা চালায়। সে সময় ইদ্রিস, জকরিয়া, জামাল, কামাল, আয়ুব আলী, মামুন, বক্কর ও দানুকে এলাকার লোকজন চিনতে পারেন। যাদের ব্যাংক কর্মকর্তা বলা হচ্ছে শনিবার হওয়ায় তারা সকলেই বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার সময় কেউ কেউ মাক্স পরা থাকায় চেনা যায় নি। সে সময় ক্যাশ থেকে সন্ত্রাসিরা টাকা লুট করে এবং মালামাল নষ্ট করে। যা এখনো সেভাবেই পড়ে আছে। আমার স্বামীকে রাম দা দিয়ে কোপ দেয়। সে কোপে একটি ফ্রিজ ও বিদ্যুতের তার কেটে যায় এবং আমার স্বামী রক্তাক্ত আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনা দেখে স্থানীয়রা এসে ধাওয়া দিলে মোটর সাইকেলযোগে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। জনতার রোষানলে পড়া সামশুল আলম তাদের সাথে রুষ্ট আচরণ করেন এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে আহত হন। ওই ঘটনায় আমার আহত স্বামী বা মামলার অন্য আসামিদের কেউ জড়িত ছিলেন না। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতাবস্থায় আমার স্বামী ও মারা যাওয়া সামশুল আলমকে উদ্ধার করে পটিয়া ও পরে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু পুলিশ একতরফাভাবে সামশুল আলমের পক্ষে মিথ্যা মামলা নিলেও আমার স্বামীর পক্ষে আমার দায়ের করা অভিযোগ টি মামলা হিসেবে রুজু করেনি। মারা যাওয়া সামশুল আলম স্ব-পরিবারে পটিয়া পৌর সদরে নিজস্ব বাসভবনে বসবাস করেন। পাহাড়ে তার কোন বাগান নেই। তিনি বাগানে গিয়ে থাকলে সাথে মোটর সাইকেলযোগে সন্ত্রাসি নেয়া বা বিকালে বাগানে যাওয়ার বিষয়টি অবান্তর। ঘটনাস্থল থেকে পাহাড়ের দুরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার পূর্বে। পাহাড় থেকে পটিয়া পৌর সদরে আসতে হলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার আগেই গাড়িতে চড়ার কথা। কিন্তু তিনি সে ধরণের পাবলিক পরিবহনে ছিলেন না। গ্রামের বাড়ি এলাকায় জমি থাকলেও তার কোন বাসস্থান নেই। যেহেতু তার কোন বাসস্থান নেই, সেহেতু তিনি পাহাড় থেকে বাড়িতে যাওয়ারও কোন যৌক্তিকতা নেই। সামশুল আলম আমার স্বামীকে হত্যা করতে গেলে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। বিষয়টি রাত-দিনের মতই স্পষ্ট। তাই এ বিষয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার এবং মিথ্যা মামলা থেকে নিরীহ ব্যক্তিদের রেহাই দিয়ে মোহাম্মদ ইউনুস এর নির্শত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো: কায়সার, মোঃ আবছার, ইব্রাহিম, মনসুর প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© All rights reserved © 2024
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি