হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আগের মৌসুমে (২০২৪ সালে) উৎপাদিত পেঁয়াজ বছরব্যাপী আশাতীত দামে বিক্রি করেছেন কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। সে ধারাবাহিকতায় এবার বাড়তি জমিতে বাড়তি বিনিয়োগ করে বহুমাত্রিক কারণে উৎপাদন ও মূল্য বিপর্য়ের মুখে পড়েছেন চাষিরা। এ জন্য কৃষকদের মধ্য থেকে অনেকে পেঁয়াজ আমদানি এবং সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। তবে মাঠ বাস্তবতায় দেখা গেছে, বিগত মৌসুমে উৎপাদিত পেঁয়াজে কৃষক-ব্যবসায়ীরা আশাতীত মুনাফা পাওয়ায় এবার চাষিরা পেঁয়াজের আবাদ বাড়িয়েছেন প্রায় ৩০ শতাংশ। পেঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জেলা রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মাগুরায় সম্প্রতি সরেজমিন তথ্য সংগ্রহকালে দেখা গেছে, কৃষকরা আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতিদিন বিক্রি করছেন। গুটি বোনা এসব পেঁয়াজ গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ক্ষেত থেকে সংগ্রহ ও বিক্রি শুরু হয়েছে। গুটির দাম বেশি হওয়ায় আগাম জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বাড়লেও, ফলন কমে যাওয়ায় দামও কমেছে বলে কৃষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। চাষিরা সাধারণত তাদের জমির ছোট অংশ ব্যবহার করে প্রাথমিক জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সরবরাহের ঘাটতির সময় ভালো দামের আশায় বীজ এবং চারা থেকে উৎপাদিত তাদের পেঁয়াজের বড় অংশ পরবর্তী মাসগুলোতে কাটার আগে। কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, গত বছর দাম বেশি থাকায় ভেড়ামারাতে পেঁয়াজের আবাদ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। অনেক কৃষক গৃহপালিত পশু বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে পেঁয়াজে বিনিয়োগ করেছে; কারণ তারা এই বছর একই দাম আশা করেছিল, কিন্তু তাদের বেশির ভাগই অর্থ হারাচ্ছে। যে সিন্ডিকেটগুলোকে একসময় দাম বাড়ার জন্য দায়ী করা হয়, তারা এখন দাম কমিয়ে দেবে এটা কোনো যুক্তিযুক্ত যুক্তি নয়। ‘কেন সিন্ডিকেট গত বছর পেঁয়াজের দাম কমিয়ে কৃষকদের ভালো দাম থেকে বঞ্চিত করেনি, তারা কি তা করতে পেরেছিল? গত বছর মূল্যবৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ ছিল ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ সীমিত। এ বছর তেমন কোনো সমস্যা নেই এবং উৎপাদনও বেড়েছে।
Leave a Reply