তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ মানুষরূপী ভয়ংকর শেয়াল শুকুন এবং শীত, হেমন্ত ও বর্ষা সহ ৬টি ঋতুর প্রকৃতির এই ভয়ংকর রূপকে মোকাবিলা করার সামর্থ্য সাধারণ মানুষের থাকলেও বোধ শক্তির অভাবে রাস্তায়, বিভিন্ন জায়গায় অবহেলায় পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের তা নেই। ফলে তীব্র শীত কিংবা বর্ষায় ফুটপাত বা কোন বিল্ডিং এর নিচে বসে শুয়ে থেকেই দিন কাটে তাদের। অনেক সময় ধর্ষণ ও নির্যাতনের স্বীকারো হতে হয়। তবে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ পথচারীদের সেদিকে কোন খেয়াল না থাকলেও মানবিক মূল্যবোধের দিক থেকে তাদের পাশে এগিয়ে এসেছে অনেকেই । দিয়েছে খাবার, চিকিৎসা ও পরিছন্নতার সেবা। তবে প্রায় এক বছর ধরে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের পিছনের বারান্দায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী বাসা বেঁধেছেন। সাবেক ইউএনও’র নজরে না আসলেও বর্তমান উপজেলা প্রশাসন সাদিয়া ইসলাম সীমার নজরে এসেছেন উক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। পরিচয় সনাত্মক করা সহ সকল ধরনের সুবিধা ও অসুবিধার খোঁজ খবর রাখছেন তিনি। ২৮শে এপ্রিল সোমবার দুপুরে ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা, এসিলেন্ট মেহেদী হাসান ফারুক, কৃষি অফিসার ফারুক আহম্মেদ, সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আরমান হক ও তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হান রাব্বি, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির মুকুল, নরুল আমিন উনার খোঁজ খবর নিতে যান। পরে ইউএনও ওনাকে নিরাপদ নতুন স্থানে স্থানান্তরির করার জন্য কথা বলে ওই নারীর হাতে খাদ্য ও বস্ত্র তুলে দেন।ইউএনও সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, গত ১ মাস আগে আমি উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন ভবনটির চার পাশ পরিদর্শনকালে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাটিকে দেখতে পাই। পরে ওনার মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে কোন পরিচয় বলতে পারেন নাই। তবে উনার কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে উনি একজন শিক্ষিত লোক ছিলেন। কারণ প্রতিটি কথা ছিল শুদ্ধ ভাষায়। উনাকে ওইখান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার চেষ্টা করলেও আবারও সব কিছু নিয়ে এখানেই এসে বাসা বাঁধেন। তিনি আরো বলেন আমি সবার ইউএনও উনার বিষয়টি নিয়েও দেখি কি করা যায়। উনার সাথে কথা বলে জানতে পারি উনি ২টি কাপর পড়ে থাকছেন তেবও ছেঁড়া। পরে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে উনার জন্য কাপড়ের ব্যবস্থা সহ খোঁজখবর রাখছি। উনার পরিচয় পাবার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী শুদ্ধ ভাষায় বলেন, আমার নাম ফাতেমা আক্তার(৩৫)। আমি ছোট থেকেই ফুলপুরে বড় হয়েছি। মাটির নিচ থেকে আমাকে আবিষ্কার করে এখানে ওরা ফেলে রেখে চলে গেছে। যা পায় তা দিয়েই আমি খাই। এখানেই রান্না করি, এখানেই খাই। আমার কাপড় গুলো ছেঁড়া ছিলো এখন ইউএনও দিয়েছে আমি খুব খুসি।
Leave a Reply