শেখ সাইফুল ইসলাম কবির বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুটি ইউনিয়নের ৮গ্রামের ২৫হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরষা এখন বাঁশের সাকো। খালে ভেঙে পড়া কাঠের পুলের স্থানে দুই বছরেও নির্মান হয়নি পুল বা ব্রীজ। স্কুল শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধ, নারী শিশুসহ অসুস্থ রোগীদের ভোগান্তি এখন চরমে। স্থানীয়দের দাবী জনগুরুত্বপূর্ণ চলাচলের স্থানটিতে একটি ব্রীজ নির্মানের।সোমবার (২৩ডিসেম্বর) সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, বারইখালী ও বহরবুনিয়া দুই ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড উত্তর সুতালড়ি গ্রামের খালের ওপরে নির্মিত কাঠের পুলটি গত দুই বছর পূর্বে ভেঙে পড়ায় অদ্যবধি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাঁকোটিতে নির্মান হয়নি ব্রীজ। যে কারনে প্রতিনিয়িত বারইখালী ও বহরবুনিয়া এ দুটি ইউনিয়নের উত্তর সুতালড়ি, সূর্যমূখী, পূর্ব কাটাখাল, বেতবুনিয়া, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া, নারিকেল বাড়ীয়া ও ঘষিয়াখালীর ৮গ্রামের প্রায় ২৫হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি এখন চরমে দাড়িয়েছে। এ সাঁকোটি পেড়িয়ে প্রতিদিন ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মা বাবা ঋণ ডিগ্রী কলেজ, ডা. হিরন্ময় কারিগরি কলেজ, ৪টি মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও ১৫/২০টি মসজিদের মুসল্লীরা নামাজ আদায়ে যেতে হচ্ছে মসজিদে। প্রতিনিয়ত সেবা নিতে জনসাধারন যাচ্ছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ, ফুলহাতা বাজার,বহরবুনিয়া বাজার, ঘষিয়াখালী বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে। এ সাঁকো পার হতে গিয়ে ইতিমধ্যে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ২বৃদ্ধ সহ এক শিশু শিক্ষার্থী। স্থানীয় গ্রামবাসী অবসরপ্রাপ্ত নেছার উদ্দিন, , রহিমা আক্তার চম্পা, ফারুক হাওলাদার, আবুল হোসেন, মাদ্রাসা শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ একাধিকরা বলেন, পুলটি ভেঙে যাওয়ার পূর্বে নড়বড়ে থাকা অবস্থায়ই ২/৩বছর ধরে শুনে এসেছি এখানে নাকি একটি ব্রীজ হবে। কর্মকর্তারা অনেকবার এসে পরিমাপ করে গেছেন। কিন্তু কোন সুরাহা নেই। স্থানীয় গ্রামবাসীদের চাঁদার টাকায় ২/৩ বার সাঁকোটি মেরামত হয়েছে। এ দূর্ভোগের শেষ কোথায়? আদৌ কি এখানে ব্রীজ হবে? ভূক্তভোগী গ্রামবাসীরা এ দূর্ভোগ লাগবের জন্য জনসাধারনের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ সাঁকোটির স্থানে একটি ব্রীজ নির্মান করারও দাবী জানান সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি। এ বিষয় বারইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আউয়াল খান মহারাজ বলেন, উত্তর সুতালড়ী খালের ওপরে পুলটিতে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে একবার সংস্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আর কোন মেরামত হয়নি। সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ার পর সাঁেকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। ওই স্থানে ব্রীজের জন্য এলজিইডি দপ্তরে একটি প্রস্তাবনা দেয়া রয়েছে। এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ভেঙে যাওয়া কাঠের পুলটির স্থানে এবছরে এডিপির বরাদ্দ থেকে পুনরায় নতুন পুল নির্মান করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তীতে ব্রীজ নির্মানের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
Leave a Reply