পটিয়া চট্টগ্রাম থেকে সেলিম চৌধুরী:-চট্টগ্রামে পটিয়ায় ব্যাটমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে শিউলী বেগম (৪২) নামের খেলোয়াড়ের এক মা প্রাণ হারিয়েছেন। সে খোলোয়াড় শামীমের মা ও উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড সিরাজ গাজী বাড়ির মুহাম্মদ মুছার স্ত্রী।গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক আলভি (১৮) একই এলাকার বাচা মিয়ার ছেলে। বর্তমানে নিহতের মরদেহ পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কম্পাউন্ডে রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে শনিবার সকালে স্থানীয় একটি জমিতে এলাকার কয়েকজন তরুণ ব্যাটমিন্টন খেলতে যায়। সেখানে খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আলভি নামের এক তরুনের ছোট ভাই খেলোয়াড় শামীমের মাথা ফেটে দেয়। বিষয়টি শামীমের মা আরভির মাকে বিচার দেয়। পরে শামীমকে নিয়ে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে আলভি তার ১০-১২ জনের কিশোরের দল নিয়ে শামীমের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। পূর্ব থেকে শামীমের পরিবারের সাথে রান্নার চুল্লির চোঙ্গা নিয়ে বিরোধ চলে আস ছিল। এ সুযোগে রান্নার চুলার চোঙ্গাও ভেঙ্গে দেয়। পরে সন্ধ্যায় ৬ টায় চিকিৎসা শেষে শামীম ও তার মা ঘরে আসলে আরভিসহ ১০-১২ জন শামীমের মায়ের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আলভি শামীমের মাকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহতবস্থায় তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহতের স্বামী মুহাম্মদ মুছা জানান, ‘মূলত রান্নার চুলার বিরোধ নিয়ে পূর্ব থেকে আরভির পরিবার আমাদের পরিবারের উপর আক্রোশ ছিল। এর জের ধরে খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়ার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে আমার স্ত্রীকে আলভি হত্যা করে।’ পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ‘পেটে ছুরিকাঘাত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত রক্তকরনের কারনে তার মৃত্যু হয়।’পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মুহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, ‘একজন মহিলার ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে পটিয়া হাসপাতালে পুলিশ ছুটে যায়। অভিযুক্ত আলভি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply