মোঃ জাহেদুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট: প্রায় একযুগ ধরে দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে লালমনিরহাট রেল স্টেশনের “নদী ভাঙ্গা পরিষদ”। তাদের এমহৎ উদ্যোগ যথেষ্ট “প্রশংসিত” হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ব্যস্ততম স্টেশন হিসেবে সুপরিচিত লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন। বৃটিশ শাসনামলে এখানে গড়ে উঠে রেলওয়ে উপনিবেশ। বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি হয় রেলওয়ে প্লাটফর্ম ও জংশন ওভার ব্রীজকে ঘিরে এখানে প্রতিদিন আশ্রয় নেয়া অসহায়, নদী ভাঙ্গা, বাস্তহারা, ছিন্নমূল, দরিদ্র ও ঠিকানাহীন শতাধিক মানুষ অনাহারে- অর্ধাহারে স্টেশনে রাত্রি যাপন করেন। সকাল হলে আবার বেরিয়ে পড়েন জীবন সংগ্রাম নামক কাজের খোঁজে। ওইসব ছিন্নমুল মানুষের ভালবাসায় স্টেশন এলাকার কিছু মানবদরদী ব্যাক্তির সহযোগীতায় ২০১২ সালে লালমনিরহাট বিশাল প্লার্টফম এলাকা ঘিরে গড়ে উঠে সেচ্ছাসেবী সংগঠন যার নাম রাখা হয় “নদী ভাঙ্গা পরিষদ”। এ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, ফজলুল হক মানিক, জাকির হোসেন, জি এস বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, হিরা, কাজল, শামীম আহম্মেদ ও আক্তারুজ্জামান রিটু সহ রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগীতায় সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় একবেলা ছিন্নমুল মানুষের মুখে এক বেলা খাবার তুলে দিচ্ছেন মানবতার সেবায় প্রতিষ্ঠিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নদী ভাঙ্গা পরিষদ’। ছিন্নমূল ঠিকানাহীন শতাধিক মানুষ এক বেলা পেটপুরে খেয়ে ওইদিন সন্ধ্যা হলেই লালমনিরহাট রেলওয়ে অব্যবহৃত রেল-লাইনের উপর সারিবদ্ধভাবে বসে খাবার রান্নার অপেক্ষায় থাকেন। রান্না শেষ হলে সবাই সম্মিলিত ভাবে বিশেষ মুনাজাত করেন। এরপর শুরু হয় খাবার বিতরণ। খাবার নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে চলে যান বাস্তহারা, ছিন্নমূল এসব মানুষ। এ বিষয়ে নদী ভাঙ্গা পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বলেন, সংগঠনটির কার্যক্রম শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। এ সংগঠন রমজান মাসে ইফতার বিতরণ, ঈদের সময় নতুন পোশাক, সেমাই, চিনি বিতরণ এবং শীত কালে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছি। এর সাথে যোগ হয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান, বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও অসুস্থ ছিন্নমূল মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙ্গা পরিষদ তাদের এ মহতী উদ্যোগের জন্য যথেষ্ট “প্রশংসিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। সংগঠনটিকে পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন।
Leave a Reply