এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় রহস্যজনকভাবে আহত ও বিষপানে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এনায়েত জমাদ্দার (৪২) শেষ পর্যন্ত বাঁচলেন না।এনায়েতের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (আজ) সকাল সাতটায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গত সোমবার সকালে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ি পয়েন্ট পাড় এলাকায় একটি ডোবা থেকে অচেতন ও গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় খুলনায়। চিকিৎসকদের ধারণা, তাকে বিষপান করানো হয়েছিল এবং তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। এনায়েতের পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়—তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার আগের রাতে তিনি স্ত্রীকে ফোনে জানান যে ১০ মিনিটে বাড়ি ফিরবেন। এরপর তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায় ডোবায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এনায়েতের সঙ্গে কিছু যুবকের পূর্ব বিরোধ ছিল। এনায়েত বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন বলে তার ভাতিজা সোহাগ জমাদ্দার জানিয়েছেন। অতীতে আওয়ামী লীগপন্থী কিছু দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছিল বলেও তার অভিযোগ।শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল্লাহ বলেন, “এখন এটি একটি মৃত্যুর ঘটনা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আমরা সব দিক থেকেই তদন্ত করছি।”এনায়েতের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply