নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা ফাজিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আলতাফ হোসেন এবার জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক ক্যান্ডিডেট হয়েছেন। পূর্বে তিনি প্রয়াত মেয়র ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ধর্মীয় আচার পালন করতেন। আলতাব হোসেনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় , জামাতের নাম ভাঙিয়ে বিএনপি আমলে মাদ্রাসায় চাকরি নেন। তার অনুগত সভাপতি বানিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি নিয়োগ বাণিজ্য আপন লোকদের চাকরি দিয়ে মাদ্রাসাতে নিজের প্রভাব বলয় তৈরি করেছেন। কিনেছেন জমি করেছেন বাড়ি গাড়ি । তার পরিচয় ব্যবহার করে চাকরি রত অবস্থায় হজ্ব উমরাহ ক্যাফেলা করে ব্যবসা করে প্রতিবছর দেশের বাইরে লম্বা ছুটি কাটান আলতাব হোসেন। গতবছর একটি পদের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলামের নিকট হতে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে নিয়োগ দিতে পারেননি। গত পাঁচ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পড়ে। নিজেকে জামাতের নেতা শিবিরের সাবেক নেতা পরিচয় দিতে থাকেন। গত ৩০ আগষ্ট জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে মঞ্চের প্রথম সারিতে বসে তার বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং পূর্বে ছাত্র শিবিরের নেতা দাবি করেন। গিরগিটির মত রং পাল্টানোর পরিবর্তে দল পাল্টানো লোকটি এবার বিএনপির ওলামা দলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদপ্রার্থী হয়েছেন। জানিয়ে মনে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল আলতাফ হোসেনের মুঠো ফোনে কল দিলে জানতে চাওয়া হলে নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায় । এদিকে বিএনপি নেতা রবিনের ইসলামের কাছে থেকে জানতে চাইলে মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের বলেন প্রিন্সিপাল আলতাফ ওলামায়েলীগ করত শুনেছি। কিন্তু সঠিক কিনা আমি জানি না। এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন বিএনপি নেতার বলেন আলতাফ হচ্ছে তিন মুখো সাপ। সব দলের সাথে তাল মিলিয়ে চলেন। তার নিজেস্ব সার্থের জন্য সব কিছু করতে পারে। তারি ধারাবাহিকতায় ও ২৭ ডিসেম্বর দৈনিক দেশ চিত্র পত্রিকায় দুর্গাপুর ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনায় অনিয়ম, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়মসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে। বিভিন্ন সময় উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২০১০ সাল হতে সরকারি বিধি অমান্য করে বেসরকারি সাগর হজ্জ এজেন্সি প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হয়েও ২০১০সাল হতে প্রতি বছর হজ্জ যাত্রীদের মোয়াল্লেম হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে সৌদি আরবে যান। এতে প্রায় হজ্জ সম্পন্ন করতে ৪৫দিন সময় লাগে।তিনি ২০২২ সালে চলতি বছরে দুইবার মোয়াল্লেম এর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাক্তিগত ব্যবসায়ে দায় নিয়ে দেশের বাহিরে যান। চলতি বছরে সর্বশেষ তিনি জুলাই মাসে সাগর এজেন্সির মাধ্যমে ৪৮জন হজ্জ যাত্রীর মোয়াল্লেমেরর দায়িত্ব নিয়ে সৌদি আরবে যান।এ সময় তিনি একটানা ৪৫ দিন প্রতিষ্ঠানের বাহিরে থাকেন। এমনকি তিনি চলতি বছরে প্রায় ৮৫দিন ব্যক্তিগত কাজে প্রতিষ্ঠান বাহিরে ছিলেন।এতে প্রতিষ্ঠানের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান কেউ কথা বললে নিজের ইচ্ছে মত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।সরকারি বিধি অমান্য করে নিজের খেয়াল-খুশি মতো সে প্রতিষ্ঠানে জান। প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে হলেও যেন দেখার কেউ নেই। এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান কোন নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। অধ্যক্ষ তার খেয়াল খুশিমতো কাজ করে চলেছেন। তিনি দিনের বেশির ভাগ সময় তার ব্যক্তিগত কাজে প্রতিষ্ঠান বাহিরে অবস্থান করেন। আর যতটুকু সময় প্রতিষ্ঠান অবস্থান করেন সেও আবার নতুন হজ্জ করা প্রার্থীদের নিয়ে অফিসে বসে দেনদরবার করেন। এদিকে,অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গোপনে নিয়োগের আগেই নিয়োগ প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। এমন ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এদিকে মাদ্রাসাটি প্রথম শ্রেণী হতে ফাযিল ডিগ্রীর অধ্যায়নরত প্রায় ৬শত শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে তিনি নতুন করে একটি হেফজ খানা খুলেছেন। মাদ্রাসার নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা আদায়ের কাজ করেন এই অধ্যাক্ষ আলতাফ হুজুর। এসব টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায় না প্রতিষ্ঠানে। এমনকি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজেও ব্যবহার করা হয় না বলেও জানা যায়। অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠান লক্ষ লক্ষ টাকা অনিয়ম-দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। অতি দ্রুত এসব অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে প্রতিষ্ঠান ৬শত শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ।এনিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের বিরাজ চলছে।
Leave a Reply