আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস’র কর্মীদের হুমকি ভয়ভীতি ও ঋণের টাকা আদায়ের চাপে অতঃপর ১৭ হাজার টাকার স্থলে ৬০ হাজার টাকার মামলার কারনে বাবুল খান নামে এক গ্রাহকের মৃত্যুর কারন বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকায়। রোববার ভোররাতে উপজেলার পশ্চিম ইন্দ্রপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল ওই গ্রামের মৃত আকুব আলী খানের ছেলে। নিহতের ছেলে রাব্বি খান, ভাই নান্নু খান ও ঋণের জামিনদার মোস্তফা কামাল অভিযোগ করে জানান, ঠঙামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এনজিওর উপজেলা শাখা থেকে ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই ১ লাখ টাকা ঋন উত্তোলন করে। সে নিয়মিত কিস্তি দিলেও পারিবাকির আর্থিক সমস্যার কারনে গত কয়েক মাস ধরে কিস্তি দিতে না পারায় তার কাছে ১৭ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ কারনে এনজিও টিএমএসএস’র ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ ১০/১৫ জন মিলে কয়েক দফায় বাড়িতে গিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তার চাকুরিজীবি ছেলে রাব্বির কর্মস্থলে অভিযোগ দিয়ে ও মামলা করে চাকরি চ্যুত করাসহ নানা রকম হুমকি দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ফোন করে রাতে তাকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাবে বলেও হুমকি দেয়। এ কারনে ঋণ গ্রহীতা বাবুল খান মানসিকভাবে ভেঙে পরে। সর্বশেষ তার স্ত্রী রাণী বেগমের নামে বরিশাল টিএমএসএস এর সহকারি শাখা ব্যবস্থাপক নাঈমা আক্তার বাদি হয়ে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬০ হাজার টাকা কিস্তি পাওয়া দেখিয়ে চেক ডিসওনার মামলা করেন। এবিষয়ে গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ইং সন্ধ্যায় মামলার সমন নোটিশ পেয়ে মানসিকচাপে ও ভয়ে রাতে ঘুমাতে পারেননি বাবুল খান। এসব কারনে শেষ রাতে তিনি স্ট্রোক করে মারা যায় বলে অভিযোগ প্রতিবেশী ও স্বজনদের। হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগ অস্বীকার করে ঠেঙামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এর উপজেলা শাখার ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রাহক বাবুল ঠিকমত ঋণ পরিশোধ না করায় কাগজপত্র বরিশাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তার করলে তারা ঋণ গ্রহীতা বাবুলের স্ত্রীর নামে মামলা করেছেন। এছাড়া গত ৪ মাসেও সংগঠন থেকে তার বাড়িতে কেহ যায়নি, যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়।
Leave a Reply