মোহাম্মদ জুবাইর, চকরিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অভিযানে শতাধিক অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ১০ কোটি টাকার বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা সাত ঘন্টা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতাবাজার ও রাস্তার মাথা এলাকায় সড়ক বিভাগের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন কক্সবাজার সড়ক বিভাগ। চকরিয়া সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো: কুতুব উদ্দীন তালুকদার বলেন, কতিপয় দখলবাজ চক্র রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বিভাগের অধি গ্রহণকৃত বিপুল জায়গা দখলে নিয়ে একাধিক অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। অবশ্য এসব জবরদখল চেষ্টার ঘটনায় জড়িত এলাকা ভিত্তিক অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে সড়ক বিভাগ নোটিশ জারি থেকে শুরু করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতাবাজার ও রাস্তার মাথা এলাকায় সড়ক বিভাগের অধি গ্রহণকৃত বেশকিছু জায়গা দখলে নিয়ে কতিপয় মহল সেখানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে রীতিমতো দোকান ভাড়া দিয়ে মালিক সেজে বসেছিলেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে অবৈধ জবরদখলে জড়িতদের নোটিশ দিয়ে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানাই। সর্বশেষ গত ২৬ জানুয়ারি সওজের লোকজন ওই এলাকায় মাইকিং করে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে মর্মে জানিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার ২৭ জানুয়ারি সড়ক বিভাগ অভিযান চালিয়ে বরইতলী একতাবাজার ও রাস্তার মাথা এলাকার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা স্কেভেটর দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, সড়ক বিভাগের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত থাকলেও সময়ের স্বল্পতার কারণে সব পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে সওজের জায়গায় নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা। তিনি বলেন, চকরিয়ার জিদ্দাবাজার এলাকায় মহাসড়কের সামনে অংশ অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি করা ফুটবল খেলার স্টেডিয়াম থেকে সওজের জায়গা ছেড়ে দেবে বলে মুছলেকা দিয়েছেন। সে কারণে তাদেরকে একদিন সময় দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা সামনের অংশ ছেড়ে না দেন তাহলে পরবর্তী সময়ে অভিযান চালিয়ে সেটি উচ্ছেদ করা হবে। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাহাত আলম, সড়ক বিভাগের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: কুতুব উদ্দীন তালুকদার, জেলা পুলিশ লাইনের রির্জাভ পুলিশ, চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
Leave a Reply